

নেপিদ, ২৮ মার্চ: জনরোষের বিস্ফোরণ ঘটেছে মায়ানমারে। বিশেষ করে মান্দালয়ে সেনার গুলিতে সাত বছরের শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা যেন আরও বেশি করে তাতিয়ে দিয়েছে মানুষকে। গত দু’মাসে সেনার গুলিতে অন্তত ৩২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবু দমানো যায়নি গণতন্ত্রকামীদের। শুক্রবারও রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছিল হাজার হাজার গণতন্ত্রকামী মানুষ।
সাধারণ মানুষের তীব্র প্রতিবাদের সামনেও নিজেদের অনড় অবস্থানই ধরে রেখেছে জুন্টা । শনিবারও চলল অবাধ হত্যালীলা। আজ একদিনে মৃতের সংখ্যা ১১৪ দাঁড়িয়েছে। যা আগের সব নজিরকে ভেঙে দিয়েছে। মায়ানমারের সেনা আগে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিল, যদি গণতন্ত্রকামীরা ফের পথে নামে তাহলে সরাসরি মাথায় গুলি করবে তারা। উল্লেখ্য, এতদিন পর্যন্ত প্রতিবাদীদের মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালাতে দেখা গিয়েছে মায়ানমার সেনাকে। কিন্তু এই প্রথম সরাসরি এমন হুমকি দিয়েছিল তারা। সেদেশের সরকারি টিভি চ্যানেলেই একথা জানা গিয়েছে।
শনিবারও বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদের পরিকল্পনা ছিল গণতন্ত্রকামীদের। তার আগেই চ্যানেলে সরাসরি সতর্কবার্তা শোনা গেল, 'আপনাদের জেনে রাখা দরকার, যে কোনও সময় আপনাদের বিপদ আরও বাড়িয়ে মাথায় ও ঘাড়ে গুলি করা হবে।' প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত যতজন মারা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অন্তত ২৫ শতাংশকে মাথাতে গুলি করেই হত্যা করা হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডে তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছে মায়ানমারে অবস্থিত বিভিন্ন দেশের দূতাবাস। টুইটারে দূতাবাসগুলোর তরফে এই হত্যাকাণ্ডকে অসহায়দের উপর অমানবিক হামলা বলে আখ্যা দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সচিব অ্যান্টনি ব্লিংকেন এই হিংসার তীব্র নিন্দা করেছেন। বার্মিজ বাহিনীর এই হত্যাকাণ্ডকে ভয়ংকর বলে আখ্যা দিয়ে মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। 
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন