
ইরাকের শপিং মলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। যার জেরে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৬০ জনের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। নিখোঁজ প্রায় ১১ জন। তবে কী ভাবে ওই শপিং মলে আগুন লাগল, তা এখনও জানা যায়নি। ওই কমপ্লেক্স এবং শপিং মল মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, স্থানীয় সময় বুধবার রাতে পূর্ব ইরাকের আল-কুত শহরের একটি শপিং মলে আগুন লাগে। যেখানে হাইপার মার্কেট ছাড়াও একাধিক রেস্তরাঁ রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আগুন লাগার একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে (সেই সমস্ত ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার)। যেখানে দেখা যাচ্ছে, রাতের অন্ধকারে দাউদাউ করে জ্বলছে আল-কুতের ওই পাঁচ তলা ভবন। দমকলকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন। যাঁরা ভিতরে আটকে পড়েছেন, তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
যে সময় ওই শপিং মলে আগুন লাগে, সেই সময় অনেকে পরিবারের সঙ্গে রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলেন। অনেকে আবার কেনাকাটা করছিলেন। আচমকাই আগুন লাগে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দমকল কর্মীরা এসে কোনও মতে কয়েক জনকে উদ্ধার করলেও বাকিরা ভিতরেই রয়ে যান।
এই প্রসঙ্গে ওয়াসজিৎ প্রদেশের গভর্নর মোহাম্মদ আল-মায়াহি বলেন, ‘‘রাতে পাঁচতলা ওই হাইপার মার্কেট ও রেস্তরাঁয় আগুন লেগে যায়। দমকল কর্মীরা এসে কোনও মতে কয়েক জনকে উদ্ধার করলেও বাকিরা ভিতরেই রয়ে যান। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁদের। এখনও পর্যন্ত ৬০ জনের দেহ মিলেছে"।
শহরের কর্মকর্তা আলী আল-মায়াহি রয়টার্সকে বলেন, ‘‘আমাদের অনুমান, আরও বেশ কয়েকটি মৃতদেহ থাকতে পারে। সেগুলি এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি"। শহরের কর্তা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ৫৯ জনের দেহ চিহ্নিত করে তাঁদের নামের তালিকা তৈরি সম্ভব হয়েছে। যাঁদের বেশির ভাগেরই দেহ অনেকাংশে পুড়ে গিয়েছে। একজনের দেহ এতটাই পুড়ে গিয়েছে, তাঁকে শনাক্ত করা যায়নি।
তবে কীভাবে ওই শপিং মলে আগুন লাগল, তা জানা যায়নি। ইতিমধ্যে ওই কমপ্লেক্স এবং শপিং মল মালিকের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে মামলা। গভর্নর জানিয়েছেন, এই ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে। সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইএনএ জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন