

মালদ্বীপের প্রধান বিরোধী দল তথাকথিত ‘চীনপন্থী’ রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জুর বিরুদ্ধে ‘ইমপিচমেন্ট’ প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে। মালদ্বীপের প্রধান বিরোধী দল ‘মালদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টি’ দেশের সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ। মুইজ্জুর অপসারণের উদ্দেশ্যে এই দলের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই স্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু করা হয়েছে।
এই ইস্যুতে সরকার এবং বিরোধীদের মতবিরোধ চরমে পৌঁছায় পার্লামেন্টে। ব্যাপক হাতাহাতি হয় সরকার ও বিরোধী পক্ষের সাংসদদের মধ্যে। আর তারপরেই রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মইজ্জুর অপসারণের দাবিতে সরব হয়ে ওঠে বিরোধীরা। প্রসঙ্গত, মালদ্বীপের ৮৭ আসনের সংসদে দুই বিরোধী দলের দখলে আছে ৫৫ আসন।
মালদ্বীপের নতুন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জু দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ‘মালদ্বীপে ভারতের প্রভাব’ কমানোর ব্যাপারে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি ভারতকে ১৫ মার্চের মধ্যে সামরিক ব্যক্তিদের প্রত্যাহার করার কথা জানিয়েছেন। মালদ্বীপে বর্তমানে প্রায় ৮৮জন ভারতীয় সেনা আছে। অন্যদিকে, চীনা গুপ্তচর জাহাজকে মালদ্বীপ উপকূলে নোঙর করার অনুমতি দিয়েছে মালদ্বীপ সরকার। যা নিয়ে বিরোধীরা প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
সরকারের এই ‘ভারত বিরোধী’ অবস্থান নিয়ে বিরোধী দলগুলির পক্ষ থেকে বারবার সতর্ক করা হলেও মইজ্জু প্রশাসন কর্ণপাত করেনি। দুই বিরোধী দলের তরফ থেকে বলা হয় - ‘কোনও উন্নয়ন অংশীদারকে বিচ্ছিন্ন করা, দেশের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হবে।’ মালদ্বীপের দুই বিরোধী দলের পক্ষ থেকেই ভারতকে ‘সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধু দেশ’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন