পরপর ১৫৫ বার কেঁপে উঠলো জাপান। রাতভর জাপানের ইশিকাওয়া, নিগাটা ও তোয়ামা উপকূলে সুনামির ঢেউ আছড়ে পড়েছে। এখনও কাটেনি আতঙ্ক। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়া বহু। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বেশ কয়েকজনের আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধারকাজ চলছে।
নতুন বছরের প্রথম দিনেই সুনামি আছড়ে পড়ল জাপানে। সোমবার দুপুর থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত মৃদু এবং মাঝারি মাত্রার কম্পন মিলিয়ে ১৫৫ বার কেঁপে উঠেছে জাপান। স্থানীয় সময় বিকেল ৪:১০ মিনিটে (07:10 GMT) অল্প গভীরতায় সবথেকে বড় কম্পনটি ঘটে। রিখটার স্কেলে মাত্রা ৭.৬। যা ইশিকাওয়া অঞ্চলের নোটো উপদ্বীপে ঘটেছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল হিসেবে ইশিকাওয়ার নোটো অঞ্চলকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যা ওয়াজিমার পূর্ব-উত্তরপূর্ব ৩০ কিমি দূরে, ৩৭.৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশে এবং ১৩৭.২ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী এই ভয়াবহ সুনামির কথা উল্লেখ করে বলেন, সোমবারের ভূমিকম্পে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক। বহু বাড়ি ভেঙে পড়েছে। উদ্ধারকাজ চলছে। কিন্তু, রাস্তাঘাটে এমনভাবে ধস নেমেছে, ফাটল হয়েছে যে প্রচণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে পৌঁছতে সমস্যা হচ্ছে সেনার। এমনকি স্থানীয় বিমানবন্দরের রানওয়েতেও ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে দ্রুততার সঙ্গে।
ইতিমধ্যে, জাপানে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদানের জন্য কন্ট্রোল রুম খুলেছে। দুর্দশাগ্রস্ত ভারতীয় নাগরিকদের সাহায্য করার জন্য নম্বর এবং ইমেল আইডি দেওয়া হয়েছে।
হোকুরিকু ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কারণে ৩৬ হাজারেরও বেশি বাড়ি বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্মুখীন হয়েছে। বহু মানুষ আহত হয়েছেন এবং এঁদের অধিকাংশকেই ইশিকাওয়ার সুজু সিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। রাস্তায় ফাটল থাকার কারণে অসুস্থদের হাসপাতালে আনার কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
এর আগে, জাপানের আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) দেশের পশ্চিম উপকূলের বিস্তৃত অংশে সুনামি সতর্কতা জারি করে। যার মধ্যে রয়েছে ইশিকাওয়া, ফুকুই, নিগাটা, তোয়ামা, ইয়ামাগাটা এবং অন্যান্য অঞ্চল। পরপর শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর এই সতর্কতা জারি করা হয়।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।