
গাজার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলে এবং বন্দীদের ছেড়ে দিতে রাজী হলে নেতানইয়াহুর সরকার থেকে ইস্তফা দেবেন বলে জানালেন ইজরায়েলের পুলিশ মন্ত্রী ইটামার বেন-গিভির। তিনি ইজরায়েলের অতি দক্ষিণপন্থী নেতানইয়াহু সরকারের পুলিশ মন্ত্রী। যদিও ইজরায়েল সরকারের অধিকাংশ মন্ত্রী যুদ্ধবিরতির পক্ষে। বর্তমানে কাতারে প্যালেস্তাইনের যুদ্ধবিরতি এবং বন্দী মুক্তির বিষয়ে আলোচনা চলছে।
ইজরায়েলের পুলিশ মন্ত্রী ইটামারের মতে গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি জারি হলে এবং বন্দীদের ছেড়ে দেওয়া হলে তা এক ভয়ংকর পদক্ষেপ হবে। এই পদক্ষেপ হামাসের কাছে আত্মসমর্পণের সমান হবে। গাজায় যুদ্ধবিরতি আটকাতে তিনি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মটরিখের কাছেও তাঁর সঙ্গে সহমত পোষণের আবেদন জানিয়েছেন।
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (পূর্বতন ট্যুইটার) এক পোষ্টে ইটামার জানিয়েছেন, হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ৪০০-র বেশি আইডিএফ (ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স) সেনা নিহত হয়েছে। এই অবস্থায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণার অর্থ হামাসের কাছে আত্মসমর্পণ করা।
ইটামারের আগে একই ধরণের মন্তব্য করেছিলেন অর্থমন্ত্রী স্মটরিখ। সোমবার তিনি জানিয়েছিলেন, ইজরায়েলের উচিত প্যালেস্তাইনের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়ে যাওয়া। যতক্ষণ না সন্ত্রাসবাদী হামাস গোষ্ঠী পুরোপুরি আত্মসমর্পণ করে ততক্ষণ এই আক্রমণ চালিয়ে যাওয়া উচিত।
২০২৩-এর ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের পর শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে ইজরায়েলে এখনও পর্যন্ত ১,২০০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং ২৫০-র বেশি মানুষকে বন্দী করা হয়েছে।
অন্যদিকে প্যালেস্তিনিয় স্বাস্থ্য দপ্তরের সূত্র অনুসারে ইজরায়েলের আক্রমণে গাজা এবং সংলগ্ন প্যালেস্টাইনে ৪৬ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে কাতারের দোহায় আমেরিকা, মিশর এবং কাতারের মধ্যস্থতায় এক আলোচনা চলছে।
দ্য টাইমস অফ ইজরায়েলের সূত্র অনুসারে, আরব আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গাজা উপত্যকা থেকে ইজরায়েলি বাহিনী আইডিএফের প্রত্যাহারের সঠিক শর্তগুলি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। মধ্যস্থতাকারীরা এখনও ইসরায়েলের কাছ থেকে এটি তুলে নেবার জন্য এক চূড়ান্ত রূপরেখার অপেক্ষায় আছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন