রক্তাক্ত হওয়ার হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে দেশ ছেড়েছিলেন বলে সাফাই দিয়েছিলেন আফগানিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আশরাফ গনি। শোনা গিয়েছিল, তিনি নাকি গাড়ি এবং হেলিকপ্টার ভর্তি করে টাকা নিয়ে পালিয়েছেন। কিন্তু তিনি দেশে ফিরছেন, দেশেই থাকবেন। তিনি না পালালে তাঁকে ল্যাম্পপোস্টে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিত তালিবানরা।
প্রথমে তিনি কোথায় আছেন জানা যায়নি। পরে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী মানবতার খাতিরে সপরিবারে তাঁকে আশ্রয় দেয় বলে জানা যায়। গনি ফেসবুকে ন’মিনিটের ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘ক্ষমতার লোভে কাবুলকে সিরিয়া বা ইয়েমেন হতে দেওয়া যাবে না। দেশে থাকলে রক্তপাত ঘটতই। আমাকে পিটিয়ে মেরে ফেলত তালিবানরা। অথবা আর এক প্রেসিডেন্টকে ল্যাম্পপোস্টে ঝুলতে দেখতেন আফগানবাসী।’
গনির অনুপস্থিতিতে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হামিদ কারজাই তালিবানদের সঙ্গে বোঝাপড়ায় আসার চেষ্টা করছেন বলে শোনা যাচ্ছে। আফগানিস্তানের সাংবিধানিক বিধিনিষেধের জন্য তিনি পরপর তিনবার রাষ্ট্রপতি হতে পারেননি। সেই কারণেই তিনি হয়তো এই পথে হাঁটছেন বলে কূটনীতিকরা মনে করছেন। অন্যদিকে, গনির অনুপস্থিতে নিজেকে সাংবিধানিক ক্ষমতা বলে দেশের প্রধান বলে ঘোষণা করেছিলেন উপরাষ্ট্রপতি আমরুল্লাহ সালেহ। তিনিও তালিবানের সঙ্গে বোঝাপড়ায় যাচ্ছেন বলে শোনা যায়। উল্লেখ্য, এদের দুজনের সঙ্গে গনির সম্পর্ক ভালো নয়।
তবুও আফগানবাসীর স্বার্থে গনির বক্তব্য, ‘আমরুল্লা এবং প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের মধ্যস্থতায় সরকার গঠনের এই প্রয়াসে আমার সমর্থন রয়েছে। আমি চাই এই প্রয়াস সফল হোক। আফগানিস্তানে ফিরতে নিজেও কথাবার্তা চালাচ্ছি, যাতে আফগানবাসী ন্যায়বিচার পান। সত্যিকারের ইসলামিক এবং জাতীয়তাবাদী মূল্যবোধের জয় হয়।’ তবে এই পরিস্থিতির জন্য নিজের সরকারের শীর্ষ আমলা, আধিকারিক এবং আন্তর্জাতিক মহলকে কাঠগড়ায় তুলেছেন গনি।
টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে গনির বক্তব্য, ‘আমি শুধু কয়েকটা জামাকাপড় নিয়ে এসেছি। নিজের লাইব্রেরির একটা বইও আনতে পারিনি।’
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।