

হংকং-এ বহুতল আবাসনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৮। এখনও ২০০ জনের বেশি নিখোঁজ রয়েছে। শুক্রবার এক সরকারি আধিকারিক একথা জানিয়েছেন। আগুন লাগার প্রায় ৪২ ঘণ্টা পর তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছেন দমকল কর্মীরা।
হংকংয়ের নিরাপত্তা সচিব ক্রিস ট্যাং শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, এই ঘটনায় কমপক্ষে ৭৯ জন আহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। কারণ ২০০ জনের অধিক এখনও নিখোঁজ। এছাড়া বহু মৃতের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তাঁর মতে, গত কয়েক দশকের মধ্যে এতো ভয়াবহ অগ্নিকান্ড হংকং-এ হয়নি।
আবাসনের অধিকাংশ বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে আগেই সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই গগনচুম্বী অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে তাঁরাও সন্দিহান। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে তাঁদের আতঙ্কিত চোখমুখের দৃশ্য। অন্যদিকে কয়েকজন হতাহতদের মধ্যে তাদের নিখোঁজ প্রিয়জন আছেন কিনা তা জানার জন্য মরিয়া হয়ে অপেক্ষা করছেন।
ক্রিস ট্যাং জানিয়েছেন, আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। এবং কীভাবে আগুন দ্রুত এক ভবন থেকে অন্য ভবনে ছড়িয়ে পড়লো, একটি টাওয়ার ব্লকের একাধিক বহুতল মুহূর্তের মধ্যে আগুনের গ্রাসে চলে গেল, তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। রিপোর্ট পেতে তিন থেকে চার সপ্তাহ সময় লাগবে বলে আশা করছেন তিনি।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক আগুনের সূত্রপাত ওয়াং ফুক কোর্ট নামের হাউসিং কমপ্লেক্সের নিচতলায়। এই কমপ্লেক্সের আটটি ব্লকে ৪,০০০ জনেরও বেশি লোক বাস করত, যাদের মধ্যে অনেকেই বয়স্ক। অগ্নিকাণ্ডের সময় সংস্কারের কাজ চলছিল আবাসনটিতে। আটটি টাওয়ারেই বাঁশের ভারা এবং সবুজ সুরক্ষামূলক জাল দিয়ে ঘেরা ছিল। ফলে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে গেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। জানালাগুলি পলিস্টাইরিন বোর্ড দিয়ে বন্ধ করা ছিল, যা দমকলকর্মীদের কাজ আরও কঠিন করে তুলেছিল।
ট্যাং বলেন, "জানালার চারপাশে থাকা পলিস্টাইরিন বোর্ডগুলিতে আগুন লাগার পর, উচ্চ তাপমাত্রার কারণে সেগুলি ভেঙে, আবাসনের ভেতরের দিকে পড়ে। ফলে আগুন ঘরের ভিতরেও ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তের মধ্যে।"
তাপমাত্রা ৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায় বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, নির্মাণ সংস্থার তিন আধিকারিক সহ মোট আট জনকে আটক করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে সংস্থার দুই ডিরেক্টর, দুই প্রজেক্ট ম্যানেজার এবং এক ইঞ্জিনিয়ার আছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন