

প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক্রোসফটের (Microsoft) পথেই হাঁটল গুগল (Google)। শুক্রবার, গুগলের মূল সংস্থা অ্যালফাবেট ইনকর্পোরেটেড (Alphabet Inc) জানিয়েছে, প্রায় ১২,০০০ চাকরি বা সংস্থার মোট কর্মশক্তির প্রায় ছয় শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করা হবে।
গত অক্টোবরে, আয়ের রিপোর্ট করেছিল গুগল। সেই রিপোর্টে সংস্থার শেয়ার ৩ শতাংশ বৃদ্ধির কথা জানিয়েছিল গুগল। কিন্তু, সংস্থার মুনাফা আগের বছরের তুলনায় কম হওয়ায় এবার কড়াকড়ি পদক্ষেপ নিয়েছে গুগল।
গত বুধবার, একলপ্তে ১১,০০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা জানায় মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা মাইক্রোসফট। স্কাই নিউজকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানায়, মোট কর্মী সংখ্যার ৫ শতাংশ বা ১১ হাজার জনকে ছাঁটাই করতে চলেছে মাইক্রোসফট। আর এই ছাঁটাই হবে হিউম্যান রিসোর্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। আর, সেই ঘোষণার দু'দিন পরই এবার কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা জানালো গুগল।
এক স্টাফ মেমোতে আলফাবেটের সিইও সুন্দর পিচাই (Alphabet CEO Sundar Pichai) বলেন, 'সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দ্রুত কর্মীসংখ্যা বৃদ্ধি করেছে সংস্থা। কিন্তু আজকে আমরা যে ভিন্ন অর্থনৈতিক বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছি, সে কথা ভেবেই কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুগল।'
এরপরই ক্ষমা চেয়ে তিনি বলেন, 'এমন সিদ্ধান্তের জন্য আমি অত্যন্ত দুঃখিত। জানি এতে কর্মীদের উপর কী কঠিন চাপ পড়বে। আজকের এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সমস্ত দায় আমি মাথা পেতে নিচ্ছি।'
একইসঙ্গে তিনি জানান, 'আমাদের কোম্পানির লক্ষ্যের দিকে নজর দিতে হবে। আগামী দিনে যে বিপুল পরিমাণ সুযোগ আমাদের সামনে আসছে, সেই বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী। আমরা আগে AI-তে বিনিয়োগ করে আমাদের পণ্য় ও পরিষেবাকে আরও শক্তিশালী করতে চলেছি। ভবিষ্যতে এই বিনিয়োগ আমাদের লক্ষ্য় পূরণের গতিকে আরও শক্তি জোগাবে।'
প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কর্মী ছাঁটাইয়ের ক্রাউডসোর্স ডাটাবেস (layoffs.fyi)-এর তথ্য অনুসারে, মহামারী করোনার পর সারাবিশ্বে ২ হাজার ৬২৪ টি প্রযুক্তি সংস্থায় মোট ৩ লক্ষ ১০ হাজার ৮০৫জন কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে।
এর মধ্যে বেশি ছাঁটাই হয়েছে ২০২২ সালে। মোট ১ হাজার ৩২ টি প্রযুক্তি সংস্থা থেকে চাকরি হারিয়েছেন ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ১২৬ জন কর্মী। আবার, নতুন বছরে (১ থেকে ২১ জানুয়ারি, ২০২৩) বিশ্বের ১৫৪ টি প্রযুক্তি সংস্থায় চাকরি হারিয়েছেন ৫৫ হাজার ৩২৪ জন কর্মী।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন