আদালতের সামনে অভিযুক্ত
আদালতের সামনে অভিযুক্ত ছবি সৌজন্যে দ্য হিন্দু

Germany: ১১,০০০ বন্দিকে হত্যার অভিযোগ, আদালতে হাজিরা প্রাক্তন নাৎসি ক্যাম্প সচিবের

১৮ বছর বয়স থেকে নাৎসিদের হয়ে কাজ করা শুরু করেন ফুরচনার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ক‍্যাম্পে থাকা বন্দিদের পরিকল্পিতভাবে হত‍্যায় সাহায্য করার অভিযোগ রয়েছে ফুরচনারের বিরুদ্ধে।
Published on

নাৎসি কনসেন্ট্রেশন ক‍্যাম্পের এক প্রাক্তন সচিব তাঁর বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগের শুনানির জন্য মঙ্গলবার জার্মানির এক আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন। ইরমগার্ড ফুরচনার (Irmgard Furchner) নামের ৯৬ বছর বয়সী ওই মহিলার বিরুদ্ধে ১১ হাজারেরও বেশি মানুষকে হত‍্যার অভিযোগ রয়েছে।

উত্তর জার্মানির ইটজেহো (Itzehoe) আদালতে মঙ্গলবার হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। ব্লু অ‍্যাম্বুলেন্স হুইলচেয়ারে করে তাঁকে আদালতে আনা হয়েছিল। সিল্কের স্কার্ফ, সানগ্লাস এবং মেডিক্যাল মাস্ক তাঁর মুখ সম্পূর্ণভাবে ঢেকে রেখেছিল।

তিন সপ্তাহ আগে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর সময় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে অ‍্যারেস্ট ওয়ারেন্ট জারি করেছিল আদালত। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।

১৮ বছর বয়স থেকে নাৎসিদের হয়ে কাজ করা শুরু করেন ফুরচনার। নাৎসি অধিকৃত পোল‍্যান্ডের স্টুথফ ক‍্যাম্পে (Stutthof Camp) কমাড‍্যান্ট পল ওয়ার্নার হোপের সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করা শুরু করেন তিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৪৩ সালের জুন মাস থেকে ১৯৪৫ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ক‍্যাম্পে থাকা বন্দিদের পরিকল্পিতভাবে হত‍্যার ক্ষেত্রে দায়িত্বে থাকা ব‍্যক্তিদের সম্পূর্ণভাবে সাহায্য করার অভিযোগ রয়েছে ফুরচনারের বিরুদ্ধে। ১১ হাজারের বেশি বন্দিকে হত‍্যায় সরাসরি সাহায্য করেছিলেন তিনি।

অপরাধ করার সময় ফুরচনার নাবালিকা থাকায় অর্থাৎ তাঁর বয়স ২১ বছরের কম থাকায় জুভেনাইল কোর্টে তাঁর বিচার করা হচ্ছে। নিরাপত্তার কারণে শহরের উপকণ্ঠে একটি প্রিফ‍্যাব ওয়ারহাউসে শুনানিটি করা হয়েছিল। বিচারকরের সামনে তিনি তাঁর স্কার্ফ, সানগ্লাস ও মাস্ক খুলে কেবল নিজের নাম বলেছিলেন। এরপর পুরো কথোপকথনই তাঁর আইনজীবী করেন।

আগামী কয়েক মাস ধরে এই শুনানি চলার কথা রয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শের ভিত্তিতে প্রতিদিন দু'ঘন্টার বেশি শুনানি করা যাবে না।

আদালতের সামনে অভিযুক্ত
Germany: সরকার গঠনের লক্ষ্যে তিন রাজনৈতিক দলের জোট ঘোষণা

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in