

ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে স্ত্রী, সন্তান সহ পরিবারের সকলেই। কিন্তু নিজের দায়িত্ব থেকে একটুও সরলেন না আল জাজিরার গাজা ব্যুরোর কর্তা তথা সাংবাদিক ওয়ায়েল আল-দাহদৌয়ে। মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পরেও 'প্রেস' লেখা জ্যাকেট পরে ফের নিজের কাজ করতে লাগলেন।
প্রিয়জনদের হারানোর যন্ত্রণা লুকিয়ে রেখেও নিজের কর্তব্য পালন করার মতো শক্ত মন সকলের থাকে না। এখনও ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধ থামেনি। লাগাতার বোমাবর্ষণ করছে ইজরায়েলি সেনা। বৃহস্পতিবার সেই বোমাই প্রাণ কেড়ে নিল ওয়ায়েল আল-দাহদৌয়ের স্ত্রী, এক পুত্র সন্তান ও কন্যা সন্তানের। আচমকাই বোমা এসে পড়ে গাজার নুসেরত ক্যাপম চত্বরে। সেখানেই একটি বাড়িতে ছিলেন ওই সাংবাদিকের পরিবারের সদস্যরা। বোমা এসে পড়ে ওই বাড়ির ছাদে। সাথে সাথেই ধূলিসাৎ হয়ে যায় বাড়িটি। সকলেই প্রাণ হারান।
মৃত্যু সংবাদ পেয়ে প্রথমে ভেঙে পড়লেও ফের কাজে নেমে পড়েন তিনি। তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তর দেন, "গোটা দেশের পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর। আমরাও প্রাণ হাতে নিয়েই কাজ করছি। ঘটনা খুবই দুঃখের। কিন্তু নিজের কাজের প্রতিও আমার একটা কর্তব্য থাকে। মানুষের কাছে আসল ঘটনা তুলে ধরা আমাদের কাজ। এখানে প্রতি মুহূর্তেই বিপদ। নিজের কর্তব্যকে অস্বীকার করতে পারি না আমি"।
চলতি মাসের শুরুতেই ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। একাধিক সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে এই যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ৭ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। একের পর এক শহর মাটির সাথে মিশে গেছে। সূত্রের খবর, এই যুদ্ধে ২৭ জন প্যালেস্তাইন, ৪ জন ইজরায়েল এবং ১ জন লেবাননের সাংবাদিক কর্মরতম অবস্থায় প্রাণ হারিয়েছেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন