

দেশের গোপনীয় তথ্য প্রকাশ্যে আনার অভিযোগে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ১০ বছরের জেল হেফাজত দিল পাক আদালত। পাশাপাশি ওই একই মামলায় প্রাক্তন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিরও ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।
মঙ্গলবার পাকিস্তানের এক বিশেষ অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট আদালতে এই মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই আদালত তাঁদের শাস্তি ঘোষণা করে। রাওয়ালপিন্ডির এক কারাগারে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট-র অধীনেই বিশেষ আদালত গড়ে তোলা হয়েছিল। এই মামলাটি সাইফার মামলা নামে পরিচিত।
ইমরান খান প্রথম থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, "আমি কোনও গোপন নথি প্রকাশ্যে আনিনি। বরং নথিতে প্রমাণ রয়েছে বিরোধীরা কীভাবে রাজনৈতিক চক্রান্ত করে সামরিক বাহিনী ও মার্কিন প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে আমাকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অপসারিত করেছিল।" যদিও হোয়াইট হাউস ইমরানের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে।
উল্লেখ্য, সাইফার, তোষাখানা সহ একাধিক মামলায় গত বছরের আগস্ট মাস থেকে জেলবন্দি রয়েছেন ইমরান খান। নতুন করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর শাস্তিতে কিছুটা হলেও চাপে ইমরানের দল পিটিআই (পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ)।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন