মৃত প্রায় ১৫০০, আগেও একাধিক ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের সাক্ষী থেকেছে তুরস্ক! কী বলছে পরিসংখ্যান?

তুরস্কে ভূমিকম্পের ফলে সবথেকে বেশি মৃত্যু হয়েছিল ১৯৩৯ সালে। ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৮। কেন্দ্রস্থল আরজিনকান প্রদেশের আরজিনকান শহর। প্রায় ৩৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্প
তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পছবি সৌজন্যে টুইটার

ভারতীয় সময় সোমবার সকাল ৬টা ৪৭ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডে ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও সিরিয়ার কিছু অংশ। সূত্র মারফত খবর, এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৫০০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এই ধরণের ভূমিকম্প তুরস্কে প্রথম নয়। তুরস্কে ভূমিকম্পের ইতিহাস ঘাঁটলে আরও অনেক অজানা তথ্য জানা যাবে।

তুরস্ক যে ভূমিকম্প প্রবণ হয়ে উঠছে তা দীর্ঘদিন ধরে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রশাসনকে সতর্কও করছেন তাঁরা। প্রশাসন যদি সতর্ক না হয় তাহলে ভবিষ্যতে এরকম ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়বে। তাঁরা এও দাবি করেছেন প্রশাসনের উচিত বিগত দিনের ভূমিকম্পের তীব্রতা দেখে শিক্ষা নেওয়া।

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি

তুরস্কে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি ভূমিকম্পের মধ্যে সবথেকে বেশি মৃত্যু হয়েছিল ১৯৩৯ সালে। ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৮। কেন্দ্রস্থল আরজিনকান প্রদেশের আরজিনকান শহর। প্রায় ৩৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এই ভুমিকম্পের ফলে।

১৯৪২ সালের ডিসেম্বর মাসে ফের একবার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক। ৭.০ তীব্রতা ছিল কম্পনের। আরবা ছিল ভূমিকম্পের উৎসস্থল। ওই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ৩০০০ জন।

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি

একবছরের মধ্যে অর্থাৎ ১৯৪৩ সালের নভেম্বর মাসে তুরস্কের সামসুন প্রদেশের লাদিক শহরে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। প্রায় ৫০০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। দু'মাস পরে গিরিডির ভূমিকম্পে (৭.৫) প্রায় ৪ হাজার জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। ১৯৪৪ সালের পর থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত ১০টি ভূমিকম্প হয়েছিল। যাতে মৃত্যু হয়েছিল ১ হাজারের একটু বেশি।

১৯৬৬ সালে ভার্তো শহরের ভূমিকম্পে (৬.৮) প্রায় ২৫০০, গেডিজ শহর ১৯৭০ সালে ৭.২ মাত্রার ভূকম্পনে কেঁপে ওঠে। মারা যান প্রায় ১১০০ জন। ১৯৭৫ সালে লাইস শহরের ভূমিকম্পে (৬.৬) ২৩১১ জন, ১৯৭৬ সালে মুরাদিয়ের ভূমিকম্পে (৭.৫) ৪ হাজার, ১৯৮৩ সালে ১৩৪২ জনের মৃত্যু হয় আরজুরুমের ভূমিকম্পে (৬.৯)।

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি

১৯৯৯ সালে ভয়াবহ ভূমিকম্প (৭.৬) হয় ইজমিত জেলায়। সেই সময় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৭০০০-র বেশি মানুষ। ২০১১ সালের অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে ভান প্রদেশেই দুটি ভূমিকম্প হয়। দুটি কম্পনের ফলে মারা যান প্রায় ৬৫০ জন।

সোমবারের ভূমিকম্পে ফের একবার প্রশাসনের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা এও দাবি করেছেন, একাধিক বেআইনি নির্মাণকাজে ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে। যা আরও বিপদজনক হয়ে দাঁড়াবে আগামী দিনে।

তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্প
তুরস্ক-সিরিয়াতে ভয়াবহ ভূমিকম্প, মৃত কয়েকশ

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in