
ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো তুরস্ক ও সিরিয়ার বেশকিছু অংশ। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ৭.৮। এই ঘটনায় পাঁচশ'র বেশি জনের প্রাণহানির খবর সামনে আসছে। ধ্বংসস্তুপে আটকে রয়েছে আরও বহু মানুষ। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
ন্যশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি মারফত জানা যাচ্ছে, ভারতীয় সময় সোমবার সকাল ৬টা ৪৭ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডে তুরস্ক, সিরিয়া, জর্ডান ও লেবাননের কিছু অংশ কেঁপে ওঠে। কম্পন বেশি অনুভূত হয় সিরিয়া ও তুরস্কতে। ভূমিকম্পের গভীরতা ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিমি নীচে ছিল। স্থানীয় সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ৫৩০-র বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। আহত হাজার জনেরও বেশি।
প্রথম ভূমিকম্পের ১০ মিনিট পরেই ফের একবার কম্পন অনুভূত হয় ওই অঞ্চলগুলিতে। দ্বিতীয় ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল সাইপ্রাস। তীব্রতা ছিল ৬.৮। মাটি থকে ১০ কিমি গভীরে ছিল উৎসস্থল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ভূমিকম্পের পরবর্তী ঘটনার। আতঙ্কে লোকজনকে ছোটাছুটি করতে দেখা যাচ্ছে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে একটি নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে মাটিতে মিশে যেতে দেখা যাচ্ছে। তাছাড়া সিরিয়াতেও ১০টির বেশি বহুতল ভেঙেছে। প্রশাসনের তরফ থেকে উদ্ধারকারী দলের সংখ্যা আরও বাড়ানো হচ্ছে। ধ্বংসস্তুপে আতকে থাকাদের দ্রুত উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে।
সিরিয়ার জাতীয় ভূমিকম্প কেন্দ্রের প্রধান রায়েদ আহমেদ বলেন, এই অঞ্চলে পূর্বে এত ভয়ানক ভূমিকম্প কোনো দিন হয়নি। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের আমি আমার সমবেদনা জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তুরস্কে এই ধরণের ভূমিকম্প এই প্রথম নয়। এর আগে ১৯৯৯ সালে ডুজসে অঞ্চল ৭.৪ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল। সেই ভূমিকম্পে ১৭ হাজারেরও বেশী মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। ২০২০ সালে জানুয়ারি মাসে এলাজিগে ৬.৮ মাত্রায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। যাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ৫০ জন।
বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরে সতর্ক করেছেন ভূমিকম্পের জন্য। ঘন জনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে যাতে বড় বড় বিল্ডিং তৈরি না করা হয় সেদিকেও নজর দেন তাঁরা। কারণ ভূমিকম্পে ওই বিল্ডিংগুলি ভেঙে পড়লে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন