
* ভারতের ওপর ২৬% শুল্ক (Discounted Reciprocal Tariff) চাপালো ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকা।
* চিনের ওপর শুল্ক আরোপ ৩৪%।
* ভারত আমেরিকার ওপর ৫২% শুল্ক আরোপ করে থাকে।
ভারতের ওপর ২৬ শতাংশ শুল্ক চাপালো ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকা। এর আগেই ২ এপ্রিল থেকে শুল্ক চাপানোর কথা জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার পণ্যে যে দেশ যে পরিমাণ শুল্ক চাপিয়ে থাকে এবার সেই দেশের পণ্যে পাল্টা সেই পরিমাণ শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষিত হল। বুধবার ভারতীয় সময় অনুসারে মধ্যরাতে এই ঘোষণা করা হয়েছে। ভারতের পাশাপাশি চিন থেকে আমদানিকৃত পণ্যে ৩৪ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা।
গতকাল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেন থেকে এই ঘোষণা করে বলেন, “এটি মুক্তি দিবস, একটি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত মুহূর্ত। ২রা এপ্রিল ২০২৫ চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কারণ আমেরিকান শিল্পের পুনর্জন্ম হয়েছিল, যেদিন আমেরিকার ভাগ্য পুনরুদ্ধার হয়েছিল এবং যেদিন থেকে আমরা আমেরিকাকে আবার ধনী করতে শুরু করছি। আমরা এটিকে ধনী, ভালো এবং আরও ধনী করে তুলব।”
তিনি আরও বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য দেশ থেকে মোটরসাইকেলের উপর মাত্র ২.৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। অন্যদিকে, থাইল্যান্ড এবং অন্যান্য দেশগুলি অনেক বেশি হারে মোটরসাইকেলের উপর শুল্ক আরোপ করছে। যা প্রায় ৬০ শতাংশ। যেমন ভারত ৭০ শতাংশ, ভিয়েতনাম ৭৫ শতাংশ এবং অন্যান্যরা আরও বেশি হারে মোটরসাইকেলের উপর শুল্ক আরোপ করছে।”
বলা হয়েছে যে, ভারত ৫২ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে এবং আমেরিকা এখন ভারতকে ২৬ শতাংশ “ছাড়প্রাপ্ত পারস্পরিক শুল্ক” (Discounted Reciprocal Tariff) আরোপ করবে।
ভারত সম্পর্কে বলতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প নয়াদিল্লির শুল্ক আরোপকে “খুবই কঠোর” বলে অভিহিত করেছেন। তিনি আরও বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি আমেরিকা এসেছিলেন... তিনি আমার ভালো বন্ধু। কিন্তু আমি তাকে বলেছি যে আপনি আমার একজন বন্ধু, কিন্তু আপনি আমাদের সাথে সঠিক আচরণ করছেন না। ভারত আমাদের কাছ থেকে ৫২ শতাংশ শুল্ক আদায় করে, তাই আমরা তাদের কাছ থেকে এর অর্ধেক - ২৬ শতাংশ শুল্ক আরোপ করব।
ভারত এবং চিন ছাড়া কানাডা, মেক্সিকো থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানো হচ্ছে। একইসঙ্গে ভিয়েতনামের ওপর ৪৬ শতাংশ, তাইল্যান্ডের ওপর ৩৬ শতাংশ, সুইজারল্যান্ডের ওপর ৩১ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর ২৫ শতাংশ, জাপানের ওপর ২৪ শতাংশ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর ২০ শতাংশ এবং যুক্তরাজ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়েছে। অন্যদিকে আমেরিকা ছাড়া অন্য কোনও দেশের গাড়ির ওপর শতকরা ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন