

অনির্দিষ্টকালের জন্য অচল হয়ে গেল ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার। আমেরিকায় ‘শাটডাউন’ ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ১২টায় অর্থাৎ বুধবারের সূচনার সময় (ভারতীয় সময় বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা) হোয়াইট হাউস আনুষ্ঠানিকভাবে ‘শাটডাউন’-এর কথা ঘোষণা করে।
মঙ্গলবার মার্কিন সেনেট প্রশাসনের তহবিল সংক্রান্ত বিল অনুমোদন করতে পারেনি। তহবিল নিয়ে সেনেটের রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাট সদস্যরা একমত হতে পারেননি।
১ অক্টোবর থেকে আমেরিকায় নতুন অর্থবর্ষ শুরু হয়। ১ অক্টোবরের আগেই পরবর্তী অর্থবর্ষের জন্য নতুন তহবিল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু এবার নতুন বিল নিয়ে সেনেট সদস্যেরা একমত হতে পারেননি। ব্যয় বরাদ্দ চূড়ান্ত করতে পারেননি।
মার্কিন সেনেটে মোট সদস্য সংখ্যা ১০০। সরকারি তহবিল সংক্রান্ত বিল পাশ করাতে হলে তার পক্ষে অন্তত ৬০টি ভোট প্রয়োজন হয়। রিপাবলিকানদের সংখ্যা ৫৩। অর্থাৎ যে কোনও বিল পাশ করাতে অন্তত সাত জন ডেমোক্র্যাটের সমর্থন তাঁদের প্রয়োজন হয়। কিন্তু নতুন সরকারি তহবিল সংক্রান্ত বিলে তা হয়নি। তাই সেনেটের অনুমোদনও মেলেনি।
বিল অনুমোদন না পাওয়ায় মার্কিন কংগ্রেসকে কোনও অর্থ বরাদ্দ করা হয়নি, যা প্রতি অর্থবর্ষের শুরুতে সরকারের বিভিন্ন দফতরের কাজ চালানোর জন্য দেওয়া হয়। এর ফলে সরকারের অধিকাংশ দফতরের কাজই বন্ধ হয়ে যাবে। চালু থাকবে কেবল আপৎকালীন পরিষেবাগুলি। অভিবাসন, পরিবহণ নিরাপত্তা, সিক্রেট সার্ভিস, শুল্ক এবং সীমান্তরক্ষা দফতর, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দফতরের কাজ চালু থাকবে।
অন্যান্য সরকারি দফতরগুলো আংশিক বা পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। সেই সমস্ত দফতরের কর্মীদের বেতনও বন্ধ থাকবে। শাটডাউন উঠলে পুনরায় বেতন চালু হবে। মার্কিন শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, অধিকাংশ কর্মীকেই আপাতত বসিয়ে দেওয়া হবে। প্রভাব পড়বে আমেরিকার খাদ্য দফতরেও।
এই পরিস্থিতির জন্য ডেমোক্র্যাটদেরই দোষারোপ করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গণছাঁটাইয়ের হুমকিও দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “শাটডাউনের অনেক ভাল দিকও রয়েছে। যেগুলো আমরা চাই না, সেগুলো ফেলে দিতে পারি। অনেককে ছাঁটাই করা হবে। তাঁরা প্রত্যেকে হবেন ডেমোক্র্যাট।“
২০১৮ সালে ট্রাম্পের প্রথম দফায় মার্কিন প্রশাসন ৩৫ দিনের জন্য অচল হয়ে পড়েছিল। এখনও পর্যন্ত আমেরিকার ইতিহাসে সেটাই সবচেয়ে বড় ‘শাটডাউন’।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন