মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে সামরিক বাহিনীর হাতে কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছেন। শনিবারের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। জানা গেছে, শনিবার সকালে সেনা অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করে দেশে অবিলম্বে গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন জুন্টা বিরোধী জনতা। সেখানেই আচমকা সামরিক বাহিনী আক্রমণ চালায়।
গত ১ ফেব্রুয়ারি এক অভ্যুত্থানে মায়ানমারে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে সামরিক জুন্টা। বন্দী করা হয় সু কি সহ একাধিক প্রথম সারির রাজনৈতিক নেতৃত্বকে। শনিবার দেশে অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করে সামরিক বাহিনীর নিশেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ চলছিলো মান্দালয়, ইয়াঙ্গন সহ অন্যান্য শহরে। এদিন দেশে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বিক্ষোভে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিলো। একই সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো। যদিও সব বাধা উপেক্ষা করেই রাস্তায় নেমেছিলেন বিক্ষোভকারীরা।
জানা যাচ্ছে, সামরিক বাহিনীর গুলি চালনায় ইয়াঙ্গনে কমপক্ষে ৪ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ১০ জনের বেশি। মান্দালয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। এছাড়াও মান্দালয়ের কাছে সাগাইনে মারা গেছেন বেশ কিছু মানুষ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্র অনুসারে শনিবার সকালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংঘটিত এই বিক্ষোভে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৫০ জনের।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মায়ানমারের সেনাবাহিনীর হাতে আটক হন সে দেশের নেত্রী আউং সান সু চি। আটক করা হয় দেশের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্তকেও। এর পাশাপাশি আগামী এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থার ঘোষণা করে দেশের দখল নেয় সেনাবাহিনী। অসমর্থিত সূত্রের খবর অনুসারে ওইদিন সকালের সেনা অভ্যুত্থানে ২৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
গত নভেম্বরে দেশের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই নির্বাচনে সহজেই জয়লাভ করেছিল সু চি-র ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি)। এই নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। এর পর থেকেই দেশের সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে টানাপোড়েন তৈরি হয়, যা গত এক সপ্তাহে চরম আকার ধারণ করে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।