বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে ছড়িয়ে পড়া হিংসার ঘটনায় আটক মহম্মদ ফয়েজ নামের এক ব্যক্তিকে জেলে পাঠানো হল। তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে (ডিএসএ) অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ, মহম্মদ ফয়েজ নামক ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পোষ্ট দিয়ে দেশ জুড়ে হিংসা ছড়াতে সক্রিয় ছিলেন।
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিথিলা জাজান নিপা শুক্রবার ধৃত মহম্মদ ফয়েজ-এর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর ফয়েজকে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন সিআইডি, কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার খান মহম্মদ রেজওয়ান।
মহম্মদ রেজওয়ান সংবাদসংস্থা আইএএনএস-কে জানিয়েছেন "ফয়েজ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকার করেছেন যে, পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার খবর পেয়ে তিনি ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা শহরের নানুয়া দীঘির পাড় পূজা মণ্ডপে পৌঁছেছিলেন। এরপর তিনি ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে এই ঘটনা ছড়িয়ে দেন।"
ফয়েজ ম্যাজিস্ট্রেটকে বলেন যে, পবিত্র কোরআনের অবমাননা হওয়ায় তিনি ফেসবুকে মানুষকে উসকানি দেওয়ার জন্য লাইভে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ভাবেননি যে এর ফলে সারা দেশে ব্যাপক সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়ে পড়বে।
এ ঘটনায় ফয়েজের সঙ্গে আরও কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের যোগাযোগ আছে আছে কি না জানতে চাইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, যারা ফয়েজের সঙ্গে জড়িত তাদের প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে খোঁজা হচ্ছে।
গত ১৩ অক্টোবর, নানুয়ার দীঘিপার পূজা মণ্ডপে ফয়েজ-এর লাইভস্ট্রিমের পরে হিন্দু মন্দির ভাংচুর করা হয়েছিল। এরপরেই পুলিশ ফায়েজকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ তার বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা রুজু করে।
১৭ অক্টোবর মামলাটি পুলিশের হাত থেকে সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। আদালত ধৃত ফয়েজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
(Except for the headline, this story has not been edited by People's Reporter and is translated and published from a syndicated feed.)
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।