Bangladesh: বাংলাদেশে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, আসছে নতুন আইন, থাকছে জরিমানার বিধান

ডিএসএ পরিবর্তন করে নতুন যে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হচ্ছে সেখানে মানহানির মামলায় সাংবাদিকদের কারাদণ্ডের বিধান থাকবে না। তবে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান থাকবে।
বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভ
বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভফাইল ছবি - জি কে সাদিক

বাংলাদেশে বিতর্কিত ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট (ডিএসএ) বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতাসীন সরকার। এই আইন বাতিল করে 'সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩' নামে নতুন একটি আইন করতে যাচ্ছে দেশের সরকার। নতুন এই আইনে মানহানির ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের কারাদণ্ড নয়, জরিমানার বিধান থাকবে।

ডিএসএ পরিবর্তন করে নতুন যে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হচ্ছে সেখানে মানহানির মামলায় সাংবাদিকদের কারাদণ্ডের বিধান থাকবে না। তবে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান থাকবে।

০৭ আগস্ট (সোমবার) বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে নতুন আইন করার সিদ্ধান্ত নীতিগত অনুমোদন হয়।

এই বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করা হচ্ছে। এ আইনের বহু ধারা নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনে যুক্ত করা হবে। কিছু ধারায় বড় সংশোধনী আনা হবে। 

নতুন আইনে দেওয়ানি মামলায় যেভাবে জরিমানার বিষয়গুলো আছে, সেভাবেই সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বিষয়গুলো থাকবে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেছেন, যখন নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন হবে, তখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন থাকবে না।

দেশে অভ্যন্তরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সিভিল সোসাইটি, সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তৈরি ও কার্যকর করে বাংলাদেশ সরকার। এর পর থেকে ভিন্নমত দমনে প্রায়ই এ আইন ব্যবহৃত হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

আইনটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োগ হয়েছে ভিন্নমতের রাজনীতিক, সাংবাদিক ও শিক্ষকদের ক্ষেত্রে। সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রেও এ আইনের আনুপাতিক ব্যবহার বেশি বলে অভিযোগ রয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পরে বাংলাদেশ সরকার। একইসাথে আইনটি বাতিলের দাবিও উঠে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক গত ১ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ স্থগিত করার আহ্বান জানান। সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পর্যালোচনা করে গত বছরের জুন মাসে বাংলাদেশ সরকারের কাছে কিছু সুপারিশ পেশ করে।

‘ওএইচসিএইচআর টেকনিক্যাল নোট টু দ্য গভর্নমেন্ট অব বাংলাদেশ অন রিভিউ অব দ্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ শিরোনামের আইনটির দুটি ধারা পুরোপুরি বাতিল ও ৮টি সংশোধনের সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয় ইউনিয়নও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের আহ্বান জানায়।

দেশে-বিদেশে ওঠা প্রতিবাদ ও দাবির মুখে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগের কথা স্বীকার করে বাংলাদেশের সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও এ বছর একাধিকবার বলেছেন, আইনটি জনবান্ধব নয়, তাই এই আইনটিকে জনবান্ধব করা হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে না, সংশোধন হবে। তিনি সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে আইনটি সংশোধনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

নতুন আইনের বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে মানহানির অভিযোগে কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান ছিল। নতুন আইনে সেখানে পরিবর্তন এনে কারাদণ্ডের পরিবর্তে জরিমানার বিধান করা হবে। এটি একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। দেওয়ানি মামলায় যেভাবে জরিমানার বিষয়গুলো আছে, সেভাবেই সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বিষয়গুলো থাকবে বলেও জানান আইনমন্ত্রী।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৯ ধারায় মানহানির বিচার করা হয়। এই ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে দণ্ডবিধির ৪৯৯ ধারায় বর্ণিত মানহানিকর তথ্য প্রকাশ ও প্রচার করেন, তার জন্য তিনি অনধিক তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত কারাদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। নতুন আইনে এ জরিমানা ২০ লাখ টাকা বাড়িয়ে ২৫ লাখ টাকা করা হয়েছে।

নতুন আইন নিয়ে বিভিন্ন মহলের প্রতিক্রিয়া:

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বাতিল ও তার পরিবর্তে সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়েও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন দল ও সংস্থা মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট (ডিএসএ) সংশোধন করে নতুন যে সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে, তা যেন কোনোভাবেই স্বাধীন মত প্রকাশে বাধা না হয়, তা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সোমবার (৭ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানায় সংস্থাটি।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তকে এই বিজ্ঞপ্তিকে ‘সতর্ক সাধুবাদ’ জানিয়েছে টিআইবি। একইসঙ্গে নতুন আইনটি প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত করার তাগিদ দিয়েছে টিআইবি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন যেন শুধুমাত্র সাইবার অবকাঠামোর নিরাপত্তার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে এবং স্বাধীন ও ভিন্নমত প্রকাশের ক্ষেত্রে বাধা না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটি বলেছে, ক্ষমতাসীন দল ও এর সহযোগীরা কঠোর ওই আইনকে ভিন্নমত দমন এবং অনলাইনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করতে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছিল।

মন্ত্রিসভা বৈঠকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাদ দিয়ে বিষয়বস্তুতে বড় পরিবর্তন এনে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’ নামে নতুন আইন করার ঘোষণা আসার পর অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক আঞ্চলিক দপ্তর এক টুইটে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

অ্যামনেস্টির প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারকে এটা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরিবর্তে যে সাইবার নিরাপত্তা আইন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে, তাতে যেন ওই আইনের দমনমূলক বৈশিষ্ট্যগুলো ফিরিয়ে আনা না হয়। নতুন আইনটি পাস হওয়ার আগে সব অংশীদার যেন প্রস্তাবিত এই আইন খুঁটিয়ে দেখা এবং এটা নিয়ে মতামত প্রদানের যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হয়। এর বিধানগুলো যেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, সে আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

কেবল মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারচর্চার কারণে যাঁদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় আনা হয়েছে, তাঁদেরকে অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে মুক্তি প্রদান এবং তাঁদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ প্রত্যাহার করতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল ও নতুন আইনের বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের) বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বদলে সরকার নতুন যে সাইবার নিরাপত্তা আইন করবে, সেটি যেন ভিন্নমত দমনের হাতিয়ার না হয়। সাইবার নিরাপত্তা আইন গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করলে তাঁরা তা মেনে নেবেন না।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান জি এম কাদের। তিনি তাঁর বিবৃতিতে বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি আরও আগেই বাতিল করা উচিত ছিল। সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। আইনটি যেন নিবর্তনমূলক এবং মানুষের মৌলিক ও মানবাধিকারের পরিপন্থী না হয়। আইনটি যেন ভিন্নমত দমনের হাতিয়ার না হয়। সাইবার নিরাপত্তা আইন গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করলে তাঁরা তা মেনে নেবেন না।

জি এম কাদের তাঁর বিবৃতিতে গণমানুষের অধিকার নিশ্চিত করে সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন।

অন্যদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের চেয়ে সাইবার নিরাপত্তা আইন আরও ভয়াবহ ও বিপজ্জনক হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী।

০৭ আগস্ট বিকেলে ঢাকার নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেছেন রিজভী।

রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী সরকার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকলে তাদের হাত দিয়ে ভালো কিছু হবে বলে আমি মনে করি না। দেশি-বিদেশি চাপে তারা আইওয়াশ হিসেবে এটি করেছে।’

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এখন পর্যন্ত মামলা ও হয়রানির পরিসংখ্যান:

বাংলাদেশে বিতর্কিত এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি তৈরি করা হয় ২০১৮ সালের অক্টোবরে। সেই সময় থেকে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই আইনে সারাদেশে মোট ৭ হাজার ১টি মামলা হয়েছে। গত ৫ জুন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জাতীয় সংসদে এই তথ্য জানিয়েছেন।

এই আইনে যে মামলাগুলোর অভিযুক্তদের অধিকাংশই বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, সাংবাদিক ও শিক্ষার্থী। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)। সিজিএস ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা ১ হাজার ২৯৫টি মামলার তথ্য বিশ্লেষণ করেছে। তাতে উঠে এসেছে, এসব মামলার যাদেরকে আসামী করা হয়েছে তাদের মধ্যে রাজনীতিকের সংখ্যা ৪০৩ জন (৩১ শতাংশ), সাংবাদিক ৩৫৫ জন (২৭ দশমিক ৪১ শতাংশ), শিক্ষার্থী ১১৮ জন।

সিজিএস বিশ্লেষণ বলছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয়েছে রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে।

বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গত প্রায় সাড়ে তিন বছরে (২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত) ১১৫টি মামলায় ২২৯ জন সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫৬ জন সাংবাদিককে। মামলা দায়েরের পরপরই কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়াই তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যের ভিত্তিতে এমন চিত্র তুলে ধরেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক বেসরকারি সংগঠন আর্টিকেল-১৯। এই সংগঠনটি মতপ্রকাশের অধিকার নিয়ে কাজ করে।

এসব মামলার বেশির ভাগ মামলার বাদী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী বা সমর্থক।

বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার তথ্যমতে, ২০২১ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যত মামলা হয়েছে, তার মধ্যে ৪০ শতাংশ মামলাই হয়েছে রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা, মন্ত্রী ও সরকারি দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নামে কটূক্তির অভিযোগে। আর বাকি ৬০ শতাংশ মামলা হয়েছে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের জন্য। এসব মামলায় অভিযুক্তের তালিকায় এখন পর্যন্ত ২০ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি তথা শিশুও রয়েছে।

বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভ
Rice Export: ভারত চাল রপ্তানি বন্ধ করতেই মার্কিন মুলুকে চালের বাজারে হাহাকার
বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভ
Sweden: শেষ ৬ মাসে সুইডেনে দেউলিয়া ৩,৯৪৯ সংস্থা, চাকরি খুইয়েছেন ২৮,০০০

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in