আফগানিস্তানের তালিবান বিরোধী প্রতিরোধ বাহিনীর নেতা আহমেদ মাসুদ ইরান গেলেন। সংবাদ সংস্থা রাহা প্রেস জানিয়েছে, তিনি ইরানে তালিবান বিরোধী প্রতিরোধ বাহিনীর অপর নেতা ইসমাইল খানের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকে মিলিত হবেন।
এই ঘটনার আগে তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রহমান তালিবান বিরোধী প্রতিরোধ বাহিনীর নেতা ইসমাইল খানকে জানান – অবিলম্বে আফগানিস্তানে তালিবান বিরোধীদের অন্তর্বর্তী সরকার গঠন প্রয়োজন।
আফগানিস্তানের পশ্চিম হিরাট প্রদেশের তালিবান বিরোধী আন্দোলনের প্রধান মুখ ইসমাইল খান তালিবানিদের হাতে আফগান সরকার পতনের আগে কড়া প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। বর্তমানে তিনি ইরানের মাশাদ শহরে আছে। এর আগে তিনি তালিবানিদের হাতে আটক হয়েছিলেন। যদিও ইরান চলে যাবার শর্তে তখন তালিবানিরা তাঁকে ছেড়ে দেয়। যদিও তালিবান বিরোধী প্রতিরোধ বাহিনীর পক্ষ থেকে তাঁদের নেতা ইসমাইল খান সম্পর্কে এখনও কোনো বিবৃতি জারি করা হয়নি।
ডিডব্লু-র রিপোর্ট অনুসারে গত অক্টোবর মাস থেকে তাজিকিস্তান এবং তালিবানিদের মধ্যে উত্তাপ বেড়েছে। ইতিমধ্যেই আফগান তাজিকিস্তান সীমান্তে দুই পক্ষই সেনা মোতায়েন করা শুরু করেছে।
রাশিয়ান বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র আলেক্সি জেইটসেভ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আমরা তাজিকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক বিরোধের দিকে নজর রাখছি। দুইদেশের নেতারাই সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। সীমান্ত অঞ্চলে তাজিকিস্তান এবং আফগানিস্তান সশস্ত্র সেনা মোতায়েন শুরু করেছে। তালিবানিদের কাছ থেকে পাওয়া খবর অনুসারে শুধুমাত্র উত্তর আফগানিস্তানের তাখার প্রদেশের সীমান্তেই কয়েক হাজার সশস্ত্র সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রথম থেকেই আফগানিস্তানের তালিবানি সরকারকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেছে তাজিকিস্তান। আফগানিস্তানের তালিবানি সরকারের চরম বিরোধিতা করে তাজিক প্রেসিডেন্ট রহমান স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী তালিবানিদের সরকারকে স্বীকৃতি দেবার কোনো প্রশ্নই নেই।
গত ২৫ আগস্ট পাকিস্তানের সঙ্গে এক বৈঠকে তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট রহমান পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মহম্মদ কুরেশিকে জানান, তাজিকিস্তান কখনোই আফগানিস্তানের তালিবানি সরকারকে স্বীকৃতি দেবেনা। এই ঘটনার পরের দিনই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট রহমানকে প্যারিস সফরে যাওয়ার আহ্বান জানান।
ওই সময় তাজিকিস্তানের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ খইরুল্লো মিরসাইডোভ জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ইমোমলি রহমান রাশিয়ার পরামর্শ ছাড়া কখনোই এরকম মন্তব্য করেননি। আমেরিকা আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাবার পর রাশিয়া কখনোই চায় না আফগানিস্তানের ওপর পাকিস্তানের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকুক।
- with IANS inputs
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।