

এক-দু'জন নয়, একসঙ্গে চাকরী হারিয়েছেন ২৭০০ কর্মচারী। তাও আবার মোবাইলে ম্যাসেজ মারফত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক আসবাব প্রস্তুতকারক কোম্পানির এই কাণ্ডে হতবাক সারা বিশ্ব।
মার্কিন সংবাদ মাধ্যম- নিউ ইয়র্ক পোস্ট এক রিপোর্টে জানিয়েছে, ২১ নভেম্বর সারাদিন কাজ থেকে ফিরে রাতে ঘুমাচ্ছিলেন ইউনাইটেড ফার্নিচার ইন্ডাস্ট্রিজ (UFI) কর্মচারীরা। এমন সময়, হঠাৎ তাঁরা SMS ও ইমেইলে জানতে পারেন, পরের দিন আর তাঁদের অফিসে যেতে হবে না। কারণ, একলপ্তে রাতারাতি কোম্পানির ২,৭০০ কর্মীর মধ্যে সকলকেই ছাঁটাই করেছে 'ইউনাইটেড ফার্নিচার ইন্ডাস্ট্রিজ' (UFI) কর্তৃপক্ষ।
রবিবার, এক রিপোর্টে বলা হয়, কানাডার এক সংস্থার জন্য সস্তায় সোফা ও চেয়ার তৈরি করত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি রাজ্যের একটি আসবাব প্রস্তুতকারক সংস্থা- ইউএফআই (UFI)।
নিউ ইয়র্ক পোস্ট অনুসারে, সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি তাদের সমস্ত কর্মীকে ইমেইল ও এসএমএসে জানিয়েছে, 'অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে আপনাদের জানাচ্ছি যে, অপ্রত্যাশিত ব্যবসায়িক পরিস্থিতিতে বোর্ডের ডিরেক্টরের নির্দেশে সংস্থার সমস্ত কর্মীকে ছাঁটাই করা হচ্ছে। অবিলম্বে এ ঘোষণা কার্যকর হবে।' পরবর্তী আরেকটি মেইলে কর্মীদের জন্য সকল সুযোগসুবিধাও বাতিল করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে ইউএফআই।
প্রতিষ্ঠানের এমন সিদ্ধান্তে মাথায় হাত পড়েছে কর্মীদের। তারা অভিযোগ করছে, কোনো কারণ না দেখিয়ে বা সময় না দিয়েই তাদের ছাঁটাই করা হচ্ছে। এমনকি প্রতিষ্ঠান থেকে ছাঁটাইকালীন কোনো ধরনের সুযোগ সুবিধা দেবে না বলেও জানিয়েছে, যা সম্পূর্ণ অন্যায্য ও অন্যায়।
জানা গেছে, প্রায় দু'দশক অর্থাৎ ২০ বছর ধরে তারা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। এর পরে হঠাৎ করেই তারা সংস্থার কাজকর্ম বন্ধ করে দেয়। এমনকি ওই সময় যে সব গাড়িচালক বিভিন্ন জায়গায় পণ্য ডেলিভারি দিতে বেরিয়েছিলেন, তাদেরও ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আগে গত গ্রীষ্মেই সংস্থার সিইও, চিফ ফাইনান্সিয়াল অফিসার এবং সেলসের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্টকেও রাতারাতি সরিয়ে দিয়েছিল ইউএফআই।
সংস্থার এ ধরনের কাজে বেশ হতাশ কাজ হারানো কর্মীরা। তারা বলেন, আমরা দিনরাত চোখ বুজে কোম্পানির জন্য খেটে গেছি। এখন আমাদের সাথে তাদের এ ধরনের আচরণ অন্যায়।
এদিকে জানা যাচ্ছে, মিসিসিপি থেকে তোরিয়া নিল (Toria Neal) নামে এক কর্মী সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এই সংস্থায় ৮ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করা তোরিয়ার দাবি করেন, কোনও রকম নোটিশ বা ক্ষতিপূরণ ছাড়াই তাদেরকে চাকরিচ্যুত করেছে কোম্পানি। এর ফলে, ফেডারেল ওয়ার্কার অ্যাডজাস্টমেন্ট অ্যান্ড রিট্রেনিং নোটিফিকেশন (WARN) আইন লঙ্ঘন করেছে কোম্পানি। যেখানে, এই ধরণের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৬০ দিনের লিখিত নোটিশ জারি করতে হয় কোম্পানিকে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন