
অনুপ্রবেশকারীরা যদি আদিবাসী মহিলাদের বিয়ে করেন তাহলে কোনও জমি পাবেন না তাঁরা। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মূলত বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের নিশানা করেই একথা বলেছেন শাহ।
আগামীকাল ঝাড়খণ্ডে প্রথম দফা এবং আগামী ২০ নভেম্বর দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। তার আগে সোমবার সরাইকেলাতে নির্বাচনী সভা থেকে অনুপ্রবেশকারী নিয়ে ঝাড়খণ্ডবাসীকে সতর্ক করলেন শাহ। তিনি বলেন, "অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের মেয়েদের বিয়ে করে এখানের জমি দখল করছে। অনুপ্রবেশকারীরা আদিবাসী মহিলাদের বিয়ে করলে তাদের জমি হস্তান্তর রোধ করার জন্য আমরা একটি আইন আনব। আমরা অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিতাড়িত করতে এবং তাদের দখল করা জমি পুনরুদ্ধার করার জন্য একটি কমিটিও গঠন করব।"
ক্ষমতাসীন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার বিরুদ্ধেও সরব হন অমিত শাহ। তিনি জানান, চম্পাই সোরেনকে অপমান করে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এটা শুধু চম্পাই সোরেনের নয় বরং সমগ্র আদিবাসী সম্প্রদায়ের অপমান।
উল্লেখ্য, জমি কেলেঙ্কারি মামলায় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন গ্রেফতার হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী হন চম্পাই সোরেন। পরে হেমন্ত জামিন পাওয়ার পর চম্পাইকে পদত্যাগ করতে হয় এবং ফের মুখ্যমন্ত্রী হন হেমন্ত। এর কয়েকদিন পরেই বিজেপিতে যোগ দেন চম্পাই। ক্ষুব্ধ হয়েই জেএমএম ছেড়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুধু জেএমএম নয়, শাহ-র আক্রমণ থেকে বাদ গেল না কংগ্রেসও। তিনি বলেন, আপনারা কেউ একসাথে ৩৫০ কোটি টাকা দেখেছেন? এখানে একজন কংগ্রেস সাংসদের বাড়ি থেকে ৩৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল। নোট গুনতে ২৭টি মেশিন আনতে হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, 'অনুপ্রবেশকারী' ইস্যুটিকে ঝাড়খণ্ড নির্বাচনে হাতিয়ার করতে চাইছে বিজেপি। অমিত শাহ-র আগে এই একই ইস্যুতে সরব হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত সপ্তাহে তিনি বলেছিলেন, জেএমএম-আরজেডি এবং কংগ্রেস সরকার তুষ্টিকরণের শিখরে উঠেছে। এই দলগুলি ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করছে। শুধুমাত্র ভোট পাওয়ার জন্য গোটা রাজ্যজুড়ে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের বসতি স্থাপনের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে আরজেডি-জেএমএম আর কংগ্রেস।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন