

ফের কর্ণাটক বিজেপিতে ভাঙন ধরালো কংগ্রেস। এবার গেরুয়া শিবির ছেড়ে হাত শিবিরে যোগ দিলেন দুই প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক মালিকায়া গুত্তেদার এবং শারদা মহন সেট্টি। ফলে নির্বাচনের আগে চরম অস্বস্তিতে বিজেপি।
শুক্রবার কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং উপ মুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমারের উপস্থিতিতে কংগ্রেসে যোগ দেন ওই দুই প্রাক্তন বিধায়ক। মালিকায়া আবার প্রাক্তন মন্ত্রীও বটে। কালাবুর্গি জেলার আফজালপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ছ'বারের বিধায়ক ছিলেন তিনি। প্রথমে তিনি কংগ্রেসে থাকলেও পরে বিজেপিতে যোগ দেন। সূত্রের খবর, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুনের পুত্র প্রিয়ঙ্ক খাড়গের প্রচেষ্টায় মালিকায়া নিজের পুরনো দলে ফেরেন।
অন্যদিকে, শারদা মোহন শেট্টি ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত উত্তর কন্নড় জেলার কুমতার কংগ্রেস বিধায়ক ছিলেন। ২০১৮ সালে টিকিট না পেয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, এই কালবুর্গি কেন্দ্রে ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে জয়লাভ করেছিলেন বর্তমান কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। ২০১৯ সালে পরাজিত হন তিনি। ওই আসন থেকে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন খাড়গের জামাই রাধাকৃষ্ণ দোড্ডামনি।
প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই গেরুয়া শিবিরের কাছ থেকে টিকিট না পেয়ে কংগ্রেসে যোগ দেন কোপ্পালের দু'বারের সাংসদ সঙ্গনা করাদি। সঙ্গনার পাশাপাশি কংগ্রেসে যোগ দেন বেলাগাভি গ্রামীণের বিধায়ক শিবপুত্র মালাগি এবং অন্যান্য নেতারাও।
আগামী ২৬ এপ্রিল কর্ণাটকে ১৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। বাকি ১৪ টি আসনে ভোট হবে ৭ মে। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ২৮টি আসনের মধ্যে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট জিতেছিল ২৬টি আসনে এবং কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট জিতেছিল মাত্র ২টি আসনে। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস কটা আসন জিততে পারে এখন সেটাই দেখার।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন