Tripura: লক্ষ্য বিধানসভা নির্বাচন, BJP-র বিরুদ্ধে লড়তে কংগ্রেসের সাথে জোট করছে বামেরা!
বছর ঘুরলেই ত্রিপুরাতে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিজেপিকে হারাতে ‘যৌথ উদ্যোগ’-র কথা শোনা গেল ত্রিপুরা সিপিআইএম-র রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরীর মুখে। কংগ্রেসের গলাতেও একই সুর। তাহলে কি কংগ্রেস-সিপিআইএম জোট করে নির্বাচনে লড়বে? জল্পনা তুঙ্গে।
বিজেপিকে রুখতে সর্বশক্তি দিয়ে বিধানসভা নির্বাচনে নামতে চাইছে সিপিআইএম। তা মঙ্গলবারের জনসভা থেকে স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিয়েছেন শীর্ষ নেতৃত্বরা। প্রয়োজনে কংগ্রেসের সাথেও জোট বাঁধতে প্রস্তুত তাঁরা। এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন জিতেন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সিপিআইএমের কাছে নির্বাচনে হারা বা জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা রাজ্যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করছি। সেই রাজ্য যেখানে বিজেপির ৫৮ মাস শাসনেই গণতন্ত্র ভেঙে পড়েছে।'
পাশাপাশি তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের নাম না নিয়েই বলেন, ‘খুব শীঘ্রই এই ‘যৌথ উদ্যোগ’-র বিষয়ে বিশদে জানানো হবে। যা আগামী বছরে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারানোর লক্ষ্যেই করা হবে।'
যদিও জোট গঠনের ক্ষেত্রে কংগ্রেসের তরফ থেকে সরাসরি কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি সদ্য ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের প্রার্থী বাছাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাওয়া প্রাক্তন সাংসদ দীপা দাশমুন্সি। তিনি বলেন, বিধানসভা ভোটে বামেদের পাশাপাশি আঞ্চলিক শক্তির সঙ্গেও কংগ্রেসের সমঝোতার সম্ভাবনা রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক কংগ্রেস নেতা বলেন, ২০২৩ সালে বিজেপিকে পরাজিত করাই আমাদের লক্ষ্য। জোটের ব্যাপারে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সবকিছুই আলোচনা সাপেক্ষ।
বিজেপি নেতারা অবশ্য বিষয়টি গুরুত্ব দিতে নারাজ। ত্রিপুরা বিজেপির সভাপতি বলেন, জোটের জন্য বিজেপি চিন্তিত নয়। সিপিআইএম-কংগ্রেস আঁতাতের কথা ত্রিপুরাবাসীর কাছে নতুন কিছু নয়। এদের আগেও গোপনে সম্পর্ক ছিল। এখন সেটা প্রকাশ্যে আসছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে বিজেপি ও IPFT জোট করে বিধানসভা নির্বাচনে জয় লাভ করেছিল। বর্তমানে বিজেপির আসন সংখ্যা ৩৩, IPFT-র ৫টি। আর সিপিআইএমের ১৫টি, TIPRA-র ২টি এবং কংগ্রেসের দখলে ১টি আসন রয়েছে।
SUPPORT PEOPLE'S REPORTER
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

