UP: বিধায়ককেই ভুল তথ্য, মিথ্যা আশ্বাস যোগী সরকারের! প্রতিবাদে ইস্তফা বিধানসভা থেকে

রাকেশ সিং জানিয়েছেন, গত তিন বছর ধরে নিজের কেন্দ্রের দুটি প্রধান সড়ক সারানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু বারবার ব‍্যর্থ হচ্ছেন তিনি।
যোগী আদিত্যনাথ
যোগী আদিত্যনাথফাইল ছবি
Published on

নিজের নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়ন না করতে পারার প্রতিবাদে বিধানসভা থেকে পদত্যাগ করলেন উত্তরপ্রদেশের এক বিধায়ক। রাকেশ প্রতাপ সিং নামে সমাজবাদী পার্টির ওই বিধায়ক আমেঠির গৌরিগঞ্জ কেন্দ্রের প্রতিনিধি। রবিবার বিধানসভার স্পিকার হৃদয় নারায়ণ দীক্ষিতের বাসভবনে গিয়ে তাঁর হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেন তিনি।

রাকেশ সিং সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গত তিন বছর ধরে নিজের কেন্দ্রের দুটি প্রধান সড়ক, যার একটি আমেঠি থেকে সুলতানপুর এবং অন‍্যটি আমেঠি থেকে অযোধ্যার সাথে সংযোগ রক্ষা করে, সারানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু বারবার ব‍্যর্থ হচ্ছেন তিনি।

বিধানসভার স্পিকারের হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দিচ্ছেন বিধায়ক
বিধানসভার স্পিকারের হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দিচ্ছেন বিধায়কছবি সৌজন্যে IANS

তিনি জানিয়েছেন, "২০১৮-১৯ সাল থেকে আমি এই সড়কগুলি মেরামত করার ক্রমাগত চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমি একাধিকবার কর্তৃপক্ষের কাছে যোগাযোগ করেছি কিন্তু কিছুই হয়নি। রাজ‍্য বিধানসভাতেও বিষয়টি উত্থাপন করেছি বহুবার। রাজ‍্য সরকার আশ্বাসও দিয়েছিল যে তিন মাসের মধ্যে রাস্তাগুলি তৈরি করা হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কিছুই হয়নি।"

তাঁর কথায়, বিধায়ককে সরকার ভুল তথ‍্য এবং মিথ‍্যা আশ্বাস দিলে বিধানসভার সদস‍্য থাকার কোনো যৌক্তিকতাই নেই।

রাকেশ সিং জানিয়েছেন, এই দুটি রাস্তায় ২০১৬-১৭ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব‍্যবহারের কারণে রাস্তা দুটি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।

তাঁর আরও অভিযোগ, বর্তমান বিজেপি সরকারের অধীনে সরকারি কর্মকর্তারা সবার ওপরে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন। জনপ্রতিনিধিদের অধিকারকে ক্ষুন্ন করছেন তাঁরা। এমনকি সরকারকেও বিভ্রান্ত করছেন।

রাস্তা নির্মাণের কাজে যুক্ত থাকা ঠিকাদার ও আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব‍্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির তত্ত্বাবধানে SIT গঠন করে তদন্তের দাবি তুলেছেন তিনি।

-With IANS Inputs

যোগী আদিত্যনাথ
Uttar Pradesh: রাখী সাওয়ান্তের সাথে মহাত্মা গান্ধীর তুলনা, বিপাকে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার অধ্যক্ষ

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in