

মণিপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের একমাত্র বিধায়ক টি. রবীন্দ্র সিং এবং প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক ওয়াই সুরচন্দ্র বৃহস্পতিবার রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপিতে যোগদান করেছেন৷
২০১৭ সালের নির্বাচনে সিং বিষ্ণুপুর জেলার থাঙ্গা বিধানসভা আসন থেকে মণিপুর বিধানসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। সুরচন্দ্র, একজন প্রাক্তন আইএএস অফিসার, ২০১৭ সালে কাকচিং কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচিত হয়েছিলেন কিন্তু পরবর্তীতে মণিপুর হাইকোর্ট নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য প্রকাশ না করার কারণে তার নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করে।
মণিপুর নির্বাচনের জন্য বিজেপির ইনচার্জ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক এবং আসামের মন্ত্রী অশোক সিংগাল, ইম্ফলের একটি সাধারণ অনুষ্ঠানে সিং এবং সুরচন্দ্র উভয়কে স্বাগত জানান।
ভৌমিক পরে নিজের ট্যুইটারে লেখেন: "আমি থাঙ্গার বিধায়ক শ্রী টি. রবীন্দ্র সিংকে বিজেপি পরিবারে স্বাগত জানাই। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজির নেতৃত্বে এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী এন. বীরেন সিংজীর উল্লেখযোগ্য অবদানের কারণে জনগণের বিশ্বাস এবং মহৎ কাজের কারণে বিজেপি মণিপুর আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে।"
সিংগাল এক ট্যুইট বার্তায় জানিয়েছেন, "আদরণীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজীর নেতৃত্বে অনুপ্রাণিত হয়ে, থাঙ্গা এলএসির টিএমসি বিধায়ক টি. রবীন্দ্র সিং এবং ওয়াই সুরচন্দ্র, কাকচিংয়ের প্রাক্তন বিধায়ক আজ এক অনুষ্ঠানে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।"
একজন প্রবীণ আদিবাসী নেতা এবং টিপাইমুখ বিধানসভা কেন্দ্রের বর্তমান কংগ্রেস বিধায়ক চাল্টনলিয়েন আমো গেরুয়া দলে যোগ দেওয়ার ১১ দিন পর বৃহস্পতিবার এই দুই নেতা বিজেপিতে যোগ দেন।
এর আগেও, রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি গোবিন্দদাস কোন্থৌজাম এবং কয়েকজন বিধায়ক সহ বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
গত বিধানসভা নির্বাচনে ১৫ বছর পর, কংগ্রেস, ২৮টি আসন নিয়ে একক বৃহত্তম দল হওয়া সত্ত্বেও, ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন জোট দ্বারা ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিল।
সেবার বিজেপি ২১টি আসন পেলেও, চার ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) বিধায়ক, বহু নাগা পিপলস ফ্রন্ট (এনপিএফ) সদস্য, তৃণমূল কংগ্রেসের একমাত্র বিধায়ক এবং একজন নির্দল সদস্যের সমর্থনে একটি জোট সরকার গঠন করেছিল।
৬০ সদস্যের মণিপুর বিধানসভার নির্বাচন দুটি ধাপে ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং ৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। ভোট গণনা হবে ১০ মার্চ।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন