

আসন্ন লোকসভা নির্বাচন। মার্চের ১৩ অথবা ১৪ তারিখের মধ্যেই হতে পারে ভোটের সূচি প্রকাশ। নির্বাচনের আগে আমলাদের বদলির ক্ষেত্রেও আরও কড়া হতে হবে। জরুরী বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি এবারের নির্বাচনেও কোনও রকম কারচুপি রুখতে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নেওয়া হবে তা স্পষ্ট করে দিয়েছে কমিশন।
এই নির্দেশের কারণ হিসাবে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে নির্বাচনি ফলাফলে প্রভাব বিস্তার করতে পারেন আমলারা। আর সেটা যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতেই এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
কমিশনের জারি করা ওই নির্দেশিকায় পরিষ্কার বলা হয়েছে, ৩ বছরের মেয়াদ শেষ হলে বদলির সময় কোনও আমলাকেই এক জেলা থেকে অন্য জেলায় পাঠানোর সময় তাঁদের যেন একই সংসদীয় ক্ষেত্রে না রাখা হয়।
পাশাপাশি নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়েছে, যে সব রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সর্বোচ্চ দুটি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে সেখানে এই নির্দেশ বলবৎ হবে না।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের সময় বহু আমলাকে বদলি করেছিল কমিশন। সেই বদলি তালিকায় ছিলেন অভিজ্ঞ আমলারা। এই কড়া পদক্ষেপ যে লোকসভা নির্বাচনেও নেওয়া হবে, সেকথা জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন।
অন্যদিকে, ভোটের আগে বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নিরাপত্তা ও প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে চাইছে কমিশন। সূত্রের খবর, আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে সেই সফর শেষ হওয়ার কথা। তারপরেই ঘোষণা হবে ভোটের সূচি।
উল্লেখ্য, আগামী ৪ মার্চ পশ্চিমবঙ্গে আসবে নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চ। ৫ মার্চ সর্বদলীয় বৈঠক করবে ফুলবেঞ্চ। সেদিনই বৈঠক হবে রাজ্যের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গেও। এরপর ৬ তারিখ রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি’র সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন করবে নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চ।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন