

ব্রাহ্মণ কোনো ‘কাস্ট’ বা জাত নয়। এটি উন্নত মানের জীবনযাপনের একটি উপায়। নির্বাচনী প্রচারে ভাষণ দেওয়ার সময় বিরোধীদের 'বর্ণবাদী' বলে আক্রমণ করে একথা জানালেন উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী দীনেশ শর্মা।
রবিবার গৌতম বুদ্ধ নগরের জেওয়ারে দলীয় প্রার্থী ধীরেন্দ্র সিংয়ের হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন দীনেশ শর্মা। সেখানে তিনি বলেন, "কেউ একজন ব্রাহ্মণদের নিয়ে আমার চিন্তাভাবনা কী, তা নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন আমাকে। আমি বলেছিলাম, বিজেপি 'সবকা সাথ, সবকা বিকাশ' চায়। আলাদা করে ব্রাহ্মণ, গুজ্জর বা জাটের নয়। প্রতিটি জাতের আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। তবে ব্রাহ্মণ্যবাদের কথা বলার সময়, আমি বলব, হ্যাঁ, আমি একজন ব্রাহ্মণ এবং এর জন্য আমি গর্বিত। একজন ব্রাহ্মণের কাজ হলো 'সর্বে ভবন্তু সুখীনা' অর্থাৎ যিনি অন্যের সুখে সুখ অনুভব করে তিনিই ব্রাহ্মণ।"
বিজেপি নেতা আরও বলেন, পেশাগত দিক থেকে তিনি একজন শিক্ষক। আগেকার দিনে শুধুমাত্র শিক্ষকদের ব্রাহ্মণ বলা হতো এবং সকল জাতের ঊর্ধ্বে গিয়ে তাঁদের ভগবান হিসেবে বিবেচনা করা হতো।
কিন্তু বর্তমানে ব্রাহ্মণকে একটি কাস্ট বা জাত হিসেবে দেখা হয়। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "ব্রাহ্মণ কোনো ‘কাস্ট’ নয়, উন্নত ধরণের জীবন যাপনের পদ্ধতিকে ব্রাহ্মণ বলা হয়। জন্ম থেকে মৃত্যু, ব্রাহ্মণরা সৌভাগ্যের জন্য কাজ করে।"
বিরোধীদের আক্রমণ করে তিনি বলেন, "বিজেপি অনগ্রসর শ্রেণী, জাট, গুজ্জর, ঠাকুর, বৈশ্য - সকলের জন্য কাজ করে। আমাদের মন্ত্রী, বিধায়ক, বিধান পরিষদের সদস্যদের মধ্যে সমস্ত বর্ণের মানুষ আছেন। আমরা অন্যান্য দলের মতো মানুষের মধ্যে বৈষম্য করিনি।"
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন