
"ক্ষত্রিয় মহিলাদের আরও বেশি বেশি করে সন্তানের জন্ম দেওয়া উচিত। এই সন্তানরা বড় হয়ে দেশের সুরক্ষা মজবুত করতে এবং দেশের হয়ে লড়াইয়ের জন্য সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দেবে। আজকের ক্ষত্রিয়দের নিজেদের কর্তব্য বোঝা উচিত।" শনিবার মধ্যপ্রদেশের শেহোরে ক্ষত্রিয় মহাসভা আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বিতর্কিত এই মন্তব্য করলেন মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলার প্রধান অভিযুক্ত তথা বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুর।
এখানেই থেমে যাননি, পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন ভোপালের সাংসদ। হিন্দু ধর্মের প্রাচীন বর্ণাশ্রম প্রথার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, "ক্ষত্রিয়দের ক্ষত্রিয় বললে তাঁরা খারাপ মনে করেন না। ব্রাহ্মণকে ব্রাহ্মণ বলুন, তাঁরা কিছু মনে করবেন না। বৈশ্যকে বৈশ্য বললে তাঁরাও খারাপ মনে করেন না। কিন্তু শূদ্রকে শূদ্র বলুন, তাঁদের খারাপ লেগে যায়। এর কারণ কী? কারণ এরা অবুঝ, বুঝতে পারে না।"
এই অনুষ্ঠান থেকে বর্তমান কৃষক আন্দোলন নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি। তাঁর মতে এই আন্দোলনে কোনো কৃষক নেই। কংগ্রেস এবং বামপন্থীরা এই আন্দোলন পরিচালনা করছে। তিনি বলেন, "কৃষকদের নাম নিয়ে যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা দেশবিরোধী। তাঁরা কেউ কৃষক নয়। কংগ্রেস এবং বামপন্থীরা কৃষকদের নাম নিয়ে দেশের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছে এবং ভুল তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছে, ঠিক যেভাবে শাহিনবাগ আন্দোলনের সময় করেছিল তাঁরা।"
জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ আইন নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করে প্রজ্ঞা ঠাকুর বলেন, "জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ আইন তাঁদের উপরেই লাগু করা উচিত যাঁরা দেশবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত। জাতির হয়ে যাঁরা লড়াই করেন তাঁদের উপর এই আইন প্রযোজ্য নয়।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন