
ত্রিপুরায় পুরভোটের আগে সিপিআইএমের ওপর ব্যাপক অত্যাচারের অভিযোগ উঠলো শাসকদল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সব জায়গা থেকে শাসকদলের অত্যাচারের অভিযোগ আসলেও তা মাত্রা ছাড়িয়েছে বিলোনিয়া মিউনিসিপ্যাল এলাকায়। এর আগে পাঁচটি পুর পরিষদ এবং দুটি নগর পঞ্চায়েতে বাম প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি।
বিলোনিয়া পুর এলাকায় সাতটি পুরসভা রয়েছে। আগামী ২৫ নভেম্বর হওয়া পুরভোটের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ৩ তারিখ। স্ক্রুটিনির তারিখ ছিল গতকাল অর্থাৎ ৫ নভেম্বর। অথচ এই পুরসভায় মনোনয়নই জমা দিতে পারেননি অধিকাংশ বামফ্রন্ট প্রার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ বিজেপি তাঁদের মনোনয়ন জমা দিতে দেয়নি।
ভোটের আগে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হওয়ায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে কটাক্ষ করেছেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান নারায়ণ কর। তিনি জানিয়েছেন, "রাজ্য নির্বাচন কমিশনে অগণিত অভিযোগ দায়ের করেছি আমরা। কমিশন একটির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়নি। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার ফোন ধরেন না, অফিসেও থাকেননা। আমরা জানি তাঁর রাজনৈতিক আনুগত্য রয়েছে, কিন্তু তিনি একটি পদে রয়েছেন। তাঁকে অবশ্যই তাঁর দায়িত্ব পালন করতে হবে।"
বিজেপির অত্যাচারের বিরুদ্ধে ডিএম(দক্ষিণ) সাজু ওয়াহেদের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে বিলোনিয়া সিপিআইএম। অভিযোগে সিপিআইএম বিলোনিয়া সাবডিভিসনাল কমিটির সম্পাদক তাপস দত্ত নির্দিষ্ট উদাহরণ উদ্ধৃত করে জানিয়েছেন, গত ২৯ অক্টোবর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআইএম প্রার্থী বিকাশ দে-র ভাইয়ের দোকান ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা যাতে বিকাশ তাঁর মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। একই দিনে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআইএম প্রার্থী রিকিতা দাসের স্বামীর দোকান জোর করে বন্ধ করে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে বিজেপির গুন্ডারা। অভিযোগে এরকম আরও একাধিক ঘটনার উল্লেখ করেছেন তাপস দত্ত যেখানে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য বা যাতে মনোনয়ন জমা দিতে না পারেন তার জন্য সিপিআইএম প্রার্থী বা তাঁদের আত্মীয়দের ওপর হামলা করছে বিজেপি।
বিরোধীরা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে প্রচার করতে পারেন এবং বিরোধী প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএম-এর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তাপস দত্ত।
তবে আগরতলা মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলে সবকটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। ৩ নভেম্বর একসঙ্গে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাঁরা।
অন্যদিকে বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দেওয়া থেকে আটকাতে খোয়াই এবং উদয়পুরের এসডিএম অফিসেই তালা লাগিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন