

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে হাওড়া থেকে টিকিট না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে বাবুন। এরপর বুধবার শিলিগুড়িতে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে ছোট ভাই স্বপনের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করার ঘোষণা করেন তৃণমূল দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি যে দিন থেকে দল করি, কোটি কোটি মানুষের সঙ্গে কাজ করি। আমার পরিবার বলে কিছু নেই। মা মাটি মানুষই আমার পরিবার। আমাদের পরিবারে রক্তের সম্পর্কে ৩২ জন সদস্য। কেউ এ রকম নয়। এতে (বাবুনের মন্তব্যে) সবাই ক্ষুব্ধ।’’
এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে বলেন, “ওর অনেক কাজই আমি অনেক দিন ধরে পছন্দ করি না। কিন্তু সব কথা তো বাইরে বলা যায় না। আজ বলছি। আমি সরাসরি বলছি, যারা বেশি বড় হয়ে যায়, তাদের লোভও বেড়ে যায়। ওকে পরিবারের সদস্য বলেই আমি মনে করি না। সব সম্পর্ক ছেদ।“
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ও ছোটবেলার কথা ভুলে গিয়েছে। বাবা যখন মারা গেল, ওর তখন আড়াই বছর বয়স। আমি আমার পরিবারের সবাইকে মানুষ করেছি। দুধের ডিপোয় কাজ করে ৪৫ টাকা পেতাম। তার পর আমি রাজনীতি করতে শুরু করি। কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের সব ভোটে দাঁড়ানোর ইচ্ছা হয়। কাউন্সিলর, এমএলএ, এমপি সব ভোটে দাঁড়াতে চায়। কিন্তু আমি পরিবারতন্ত্র করি না। মানুষতন্ত্র করি। লোভীদের আমি পছন্দ করি না।’’
মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবির পরেই বয়ান বদল করেন স্বপন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি বলেন, তিনি নির্দল প্রার্থী হিসাব ভোটে দাঁড়াচ্ছেন না। আর দিদি তাঁকে নিয়ে যা যা বলেছেন, তা তিনি আশীর্বাদ হিসাবেই নিচ্ছেন।
মঙ্গলবার রাতে এক সংবাদ মাধ্যমে কথা বলার সময় মুখ্যমন্ত্রীর ভাই জানান, “প্রসূন ব্যানার্জীকে হাওড়ায় প্রার্থী করা ঠিক হয়নি। ও ছাড়াও ওখানে অনেক যোগ্য লোক ছিল। আমি মানুষের কাজ সবসময় করি, আর করতেও চাই।“ তিনি আরও বলেন, "একটা মানুষ যিনি, ক্লাস ফাইভ পাশ করতে পারেন না, তাঁকে স্নাতক করে পাশ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। হাওড়ার মানুষ ওঁকে মেনে নিচ্ছেন কি না জানি না আমি। কিন্তু আমি বলতে পারি, এই প্রার্থী ঠিক হয়নি। সাংসদ তহবিলের কোনও টাকা শেষ করতে পারেন না প্রসূন। মানুষের মধ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা নেই যথেষ্ট।"
হাওড়ায় নির্দল হয়ে লড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন বাবুন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন