Salman Rushdie: 'লিখলেও মনে হয় আবর্জনা...', ছুরিকাঘাত আরও কঠিন করেছে সালমান রুশদির জীবন
ছুরিকাঘাতে একটি চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছিলেন 'বুকার জয়ী' ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক সালমান রুশদি। যা তাঁর সাহিত্যিক জীবনকে আরও কঠিন করে তুলেছে। এখন তিনি লিখতে বসেন ঠিকই কিন্তু আগের মতো লেখার ক্ষমতা হারিয়েছেন।
আগের মতো আর তাঁর কলম চলে না। নতুন ভাবনাও মস্তিষ্কে আসে না। এমনই বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রবীণ এই সাহিত্যিক। এক মার্কিন সংবাদ মাধ্যমে তিনি বলেন, এখন লিখতে গেলে খুব অসুবিধা হয়। আমি লিখতে বসি কিন্তু কিছুই মনে আসে না। ধরুন একটা কিছু লিখলাম। কিন্তু তার পুরোটাই মনে হয় আবর্জনার মতো। ফের পুরো লেখাটাকে কেটে পেজটি বাতিল করে দিই। আমি এখনও সেই আতঙ্কের মধ্যে আছি।
পাশাপাশি তিনি বলেন, আমার বড় ক্ষতগুলি সেরে গেছে। কিন্তু আমার হাতের বুড়ো আঙুল, তর্জনী এবং তালুর নীচে ব্যাথা এখনও রয়েছে। যার জন্য অবশ্য নিয়মিত চিকিৎসা চলছে। আশা করি হ্যান্ড থেরাপির মাধ্যমে ধীরে ধীরে ব্যাথাটাও চলে যাবে।
গত ১২ আগস্ট, নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানের মাঝে অতর্কিত রুশদির ওপর ছুরি নিয়ে হামলা চালায় হাদি মাতার নামে এক যুবক। সে সময় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেও, একটি চোখ ও হাত হারাতে হয়েছে সালমান রুশদিকে।
বেদনা উপেক্ষা করেও তিনি ছুরিকাঘাতের চার মাস পর নতুন উপন্যাস 'ভিক্টরি সিটি'-এর একটি অংশ প্রকাশ করেছিলেন। দ্য নিউ ইয়র্কার ম্যাগাজিনে 'এ স্যাকফুল অফ সিডস' শিরোনামের অংশটি প্রকাশিত হয়।
তাছাড়া চলতি বছরে ফেব্রুয়ারি মাসে পেঙ্গুইন র্যান্ডম হাউস থেকে রুশদির উপন্যাস প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। বইটির সম্পর্কে প্রকাশক বলেছেন, "এখানে একজন মহিলার মহাকাব্যিক কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন