Maulana Azad: এবার NCERT পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ মৌলানা আজাদের নাম - প্রতিবাদে NCP, CPIM

ক্লাইডের অভিযোগ, NCERT কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন এবং যা বিজেপি সরকার পরিচালনা করে। সেই কারণে প্রশ্ন উঠছে, মৌলানা আজাদের নাম বাদ দেওয়া কি শুধু ধর্মের কারণে?
মৌলানা আবুল কালাম আজাদ
মৌলানা আবুল কালাম আজাদফাইল ছবি, দ্য ওয়ারের সৌজন্যে
Published on

পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদের তালিকায় এবার নাম উঠলো দেশের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী, ভারতরত্ন মৌলানা আবুল কালাম আজাদের নাম। দ্য হিন্দুতে প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুসারে ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (NCERT) -এর পাঠ্যপুস্তক থেকে এই নাম সম্প্রতি বাদ দেওয়া হয়েছে। যে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃত্ব।

বৃহস্পতিবার এক ট্যুইট বার্তায় ইয়েচুরি বলেন, স্কুলের পাঠ্য বই থেকে মৌলানা আজাদের কোনো প্রসঙ্গ মুছে ফেলা আপত্তিকর। আরএসএস তার ফ্যাসিস্টিক মতাদর্শকে এগিয়ে যাবার লক্ষ্যে এক মিথ্যা আখ্যান তৈরি করার জন্য ইতিহাসের এই ধরনের প্রতিহিংসামূলক পুনর্লিখন আধুনিক ভারতের ভিত্তিকে ধ্বংস করে এবং অনিবার্যভাবে সভ্যতার সমস্ত অগ্রগতিকে অস্বীকার করে।

জানা গেছে NCERT-এর দ্বাদশ শ্রেণীর পলিটিক্যাল সায়েন্স পাঠ্যপুস্তক থেকে এই নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে এনসিপি-র জাতীয় মুখপাত্র ক্লাইড ক্রাস্তো বলেন, বিজেপি পরিচালিত সরকার NCERT-কে ব্যবহার করে ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় মৌলানা আজাদের অবদান মুছে ফেলার চেষ্টা করছে।

উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকের প্রথম অধ্যায়ের একটি অংশে বলা ছিল, ভারতীয় সংবিধান সভায় আটটি প্রধান কমিটি ছিল। যে কমিটিগুলির প্রধান ছিলেন জওহরলাল নেহেরু, রাজেন্দ্র প্রসাদ, সর্দার প্যাটেল, মৌলানা আজাদ, আম্বেদকর প্রমুখ।

যদিও NCERT-র এই বইয়ের নতুন সংস্করণে মৌলানা আজাদের নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবং আগের অংশটিতে এখন লেখা হয়েছে, জওহরলাল নেহেরু, রাজেন্দ্রপ্রসাদ, সর্দার প্যাটেল এবং বি আর আম্বেদকর এই কমিটিগুলির চেয়ারম্যান ছিলেন। ক্লাইড বলেন, এই ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।

এই ঘটনাকে এক পরিকল্পিত চক্রান্ত বলে ক্লাইড বলেন, গত বছর সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক ‘মৌলানা আজাদ ফেলোশিপ’ বাতিল করে দেয়, যা ২০০৯ সালে পূর্বতন ইউপিএ সরকার চালু করেছিল। মূলত ছটি বিশেষ সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ছাত্রছাত্রীদের পাঁচ বছরের জন্য এই ফেলোশিপে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হত।

ক্লাইডের অভিযোগ, NCERT কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন এবং যা বিজেপি সরকার পরিচালনা করে। সেই কারণে প্রশ্ন উঠছে, মৌলানা আজাদের নাম বাদ দেওয়া কি শুধু ধর্মের কারণে?

মৌলানা আজাদ একজন প্রথিতযশা লেখক এবং স্বাধীনতা সংগ্রামী। স্বাধীনতার পর তিনি দেশের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে ১০ বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেন। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে তিনি ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট হন এবং ঐতিহাসিক খিলাফত আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। ১১ নভেম্বর - তাঁর জন্মদিনকে জাতীয় শিক্ষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদের তালিকায় এবার নাম উঠলো দেশের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী, ভারতরত্ন মৌলানা আবুল কালাম আজাদের নাম। দ্য হিন্দুতে প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুসারে ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (NCERT) -এর পাঠ্যপুস্তক থেকে এই নাম সম্প্রতি বাদ দেওয়া হয়েছে। যে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃত্ব।

বৃহস্পতিবার এক ট্যুইট বার্তায় ইয়েচুরি বলেন, স্কুলের পাঠ্য বই থেকে মৌলানা আজাদের কোনো প্রসঙ্গ মুছে ফেলা আপত্তিকর। আরএসএস তার ফ্যাসিস্টিক মতাদর্শকে এগিয়ে যাবার লক্ষ্যে এক মিথ্যা আখ্যান তৈরি করার জন্য ইতিহাসের এই ধরনের প্রতিহিংসামূলক পুনর্লিখন আধুনিক ভারতের ভিত্তিকে ধ্বংস করে এবং অনিবার্যভাবে সভ্যতার সমস্ত অগ্রগতিকে অস্বীকার করে।

জানা গেছে NCERT-এর দ্বাদশ শ্রেণীর পলিটিক্যাল সায়েন্স পাঠ্যপুস্তক থেকে এই নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে এনসিপি-র জাতীয় মুখপাত্র ক্লাইড ক্রাস্তো বলেন, বিজেপি পরিচালিত সরকার NCERT-কে ব্যবহার করে ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় মৌলানা আজাদের অবদান মুছে ফেলার চেষ্টা করছে।

উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকের প্রথম অধ্যায়ের একটি অংশে বলা ছিল, ভারতীয় সংবিধান সভায় আটটি প্রধান কমিটি ছিল। যে কমিটিগুলির প্রধান ছিলেন জওহরলাল নেহেরু, রাজেন্দ্র প্রসাদ, সর্দার প্যাটেল, মৌলানা আজাদ, আম্বেদকর প্রমুখ।

যদিও NCERT-র এই বইয়ের নতুন সংস্করণে মৌলানা আজাদের নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবং আগের অংশটিতে এখন লেখা হয়েছে, জওহরলাল নেহেরু, রাজেন্দ্রপ্রসাদ, সর্দার প্যাটেল এবং বি আর আম্বেদকর এই কমিটিগুলির চেয়ারম্যান ছিলেন। ক্লাইড বলেন, এই ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।

এই ঘটনাকে এক পরিকল্পিত চক্রান্ত বলে ক্লাইড বলেন, গত বছর সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক ‘মৌলানা আজাদ ফেলোশিপ’ বাতিল করে দেয়, যা ২০০৯ সালে পূর্বতন ইউপিএ সরকার চালু করেছিল। মূলত ছটি বিশেষ সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ছাত্রছাত্রীদের পাঁচ বছরের জন্য এই ফেলোশিপে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হত।

ক্লাইডের অভিযোগ, NCERT কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন এবং যা বিজেপি সরকার পরিচালনা করে। সেই কারণে প্রশ্ন উঠছে, মৌলানা আজাদের নাম বাদ দেওয়া কি শুধু ধর্মের কারণে?

মৌলানা আজাদ একজন প্রথিতযশা লেখক এবং স্বাধীনতা সংগ্রামী। স্বাধীনতার পর তিনি দেশের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে ১০ বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেন। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে তিনি ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট হন এবং ঐতিহাসিক খিলাফত আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। ১১ নভেম্বর - তাঁর জন্মদিনকে জাতীয় শিক্ষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

আরও পড়ুন

মৌলানা আবুল কালাম আজাদ
Opposition Unity: দেশের সংবিধান রক্ষার জন্য ২০২৪-এর নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করতে হবে - ইয়েচুরি
মৌলানা আবুল কালাম আজাদ
Karnataka: BJP-র দ্বিতীয় তালিকাতেও বাদ একাধিক হেভিওয়েট, ফেসবুকে ক্ষোভ উগরে এক বিধায়কের দলত্যাগ

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in