

ভারতীয়দের কাছে চা একটি আবেগ। সকালে ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে দিনের যেকোনো সময় শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা যে কোনও ঋতুতে ভারতীয়দের চা-এ না নেই কখনও। আর এবার সেই চা বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা অ্যালকোহল-বিহীন পানীয় হিসাবে নির্বাচিত হয়েছে। সম্প্রতি TasteAtlas তাদের ইনস্ট্রাগ্রামে এই খবরটি প্রকাশ করেছে।
TasteAtlas বিশ্বের সবচেয়ে প্রিয় অ্যালকোহল-বিহীন পানীয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের মাসালা চা, এক নম্বরে রয়েছে মেক্সিকোর আগুয়াস ফ্রেসকাস। এটি একটি পানীয়, যেটি জলের সাথে বিভিন্ন রকম ফল, শসা, ফুল, বীজ, চিনি এবং খাদ্যশস্য মিশিয়ে তৈরি করা হয়।
একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে খবরটি প্রকাশ করে, TasteAtlas লিখেছে, "চা মসলা একটি সুগন্ধযুক্ত পানীয় যা ভারতে পাওয়া যায়। এটি কালো চায়ের দানা এবং দুধের সংমিশ্রণে তৈরি করা হয়। এতে একটি মসলার মিশ্রণও দেওয়া হয়, যার মধ্যে সাধারণত এলাচ, আদা, লবঙ্গ, দারুচিনি এবং কালো গোলমরিচ থাকে।"
খবরটি দেখে ভারতীয় নেটিজেনরা আনন্দিত। বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তাঁরা। এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, "এটা মসলা চা, চা মসলা নয়। চা মসলার আক্ষরিক অর্থ আপনি চায়ের মধ্যে যে মশলা রাখেন। মসালা চা মানে মশলাযুক্ত চা।"
অন্য একজন লিখেছেন, "'এটিকে মসলা চা বলা হয়, সেই ক্রমে ‘চা মসলা' নয়। চায়ের মসলা হল এর আসল উপাদান যা আমরা চা তৈরি করার জন্য তৈরি করি।" একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, "মাসালা চা একটি পানীয় নয়, এটি একটি আবেগ।"
এছাড়া তৃতীয় স্থান দখল করেছে ভারতের আমের লস্যি। এর আগে, এটি 'বিশ্বের সেরা দুগ্ধ পানীয়'-এর খেতাবও পেয়েছিল। অন্য একটি সমীক্ষায়, TasteAtlas ভারতের বাসমতিকে বিশ্বের সেরা চাল হিসাবে স্থান দিয়েছে।
তারা বাসমতিকে সর্বোত্তম বলার কারণ ব্যাখ্যা করে জানিয়েছিলেন, "বাসমতি চাল রান্না করার পর, দানাগুলি পৃথক থাকে এবং একে অপরের সাথে লেগে থাকে না। শস্য যত দীর্ঘ হবে, তা থেকে তত ভালো ভাত হবে। আর বাসমতি দানার একটু সোনালি আভা আছে, যা এর রূপও বৃদ্ধি করে।"
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন