

লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের দুটি মর্যাদাপূর্ণ কেন্দ্র হল রায়বেরেলি ও আমেঠি। মায়ের আসন রায়বেরেলি থেকে প্রার্থী হয়েছেন রাহুল গান্ধী এবং আমেঠিতে প্রার্থী হয়েছেন গান্ধী অনুরাগী কিশোর লাল শর্মা। এই দুটি আসনের একটি থেকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর প্রার্থী হওয়ার জল্পনা থাকলেও তিনি প্রার্থী হননি। প্রার্থী না হয়েও এই দুই আসনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা।
আগামী ২০ মে, পঞ্চম দফা নির্বাচনের দিন ভোট ওই দুই কেন্দ্রে। কংগ্রেসের কাছে দুটো আসনেই গুরুত্বপূর্ণ। রায়বেরেলি কংগ্রেসের দখলে থাকলেও গত লোকসভায় আমেঠিতে রাহুলকে হারিয়ে জিতে যান বিজেপির স্মৃতি ইরানি। তবে চলতি লোকসভায় ওই দুটি আসনেই জিততে মরিয়া শতাব্দী প্রাচীন এই দল। প্রচার চলছে জোরকদমে। কংগ্রেসের প্রচারে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা।
নির্বাচনী প্রচারে সোমবার রায়বেরেলি পৌঁছান প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। বর্তমানে সেখানেই রয়েছেন তিনি। গত দুদিন স্থানীয় কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন কংগ্রেস নেত্রী। সোমবার একটি বৈঠকে প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছিলেন, আগামী ১৮ মে পর্যন্ত তিনি রায়বেরেলিতেই থাকবেন।
কংগ্রেস সূত্রে জানা গেছে, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠকের সময় বলেছেন, “রায়বেরেলি এবং আমেঠিতে আমাদের লড়াই করতে হবে। আমার ২৪ ঘন্টা এখন আপনাদের জন্য। আমি আপনাদের তিরস্কার করব, আপনাদের দৌড়াতে বাধ্য করব, কিন্তু শক্তভাবে আপনাদের পাশে দাঁড়াবো। আমার বাড়ির দরজা আপনাদের জন্য চব্বিশ ঘন্টা খোলা আছে। এই নির্বাচন সংবিধান বাঁচানোর নির্বাচন। বিজেপির আপনাদের থেকে সংরক্ষণের সুবিধা কেড়ে নিতে চায়।“
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পরবর্তী সময় ১৯৫২ সাল থেকে রায়বেরেলিতে জিতে আসছে কংগ্রেস। ১৯৬২, ১৯৭৭ এবং ১৯৯৯ সাল বাদ দিয়ে এই কেন্দ্রে নেহরু-গান্ধী পরিবারের কেউ না কেউ প্রার্থী হয়েছেন। সোনিয়া গান্ধী পাঁচ বারের সাংসদ ছিলেন। বর্তমানে শারীরিক অবস্থার জন্য রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছেন তিনি। অতীতে ওই আসনে প্রতিনিধিত্ব করেছেন ইন্দিরা গান্ধী এবং ফিরোজ গান্ধী।
অন্যদিকে, আমেঠিতে রাহুল গান্ধী তিনবারের সাংসদ। ২০১৯ –এর লোকসভাতে বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানির কাছে হেরে যান তিনি। অতীতে ওই আসনে প্রতিনিধিত্ব করেছেন সঞ্জয় গান্ধী, রাজীব গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধী।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন