স্থানীয় বিধায়কদের তুলনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরদের প্রতি বেশি ক্ষুব্ধ দেশের মানুষ। সংবাদ সংস্থা আইএএনএস (IANS) এবং সি-ভোটার (CVoter)-এর এক সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্য অনুসারে - দেশের ১১.২ শতাংশ মানুষ নিজেদের বিধায়কদের প্রতি ক্ষুব্ধ। এর বিপরীতে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের প্রতি অসন্তোষ জমেছে ২৪.৬ শতাংশ মানুষের।
কিন্তু, রাজ্যভেদে এই তথ্যের মধ্যে (মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ) পার্থক্য দেখা গেছে।
জনগণের সরকার-বিরোধী মনোভাবের মাত্রা বোঝার জন্য প্রতি ৩ মাস অন্তর সমীক্ষা চালায় (IANS) এবং সি-ভোটার (CVoter)। সেই প্রচেষ্টারই অংশ হিসাবে উঠে এসেছে এই চিত্র।
জানা যাচ্ছে, বিভিন্ন রাজ্যের মানুষের মনোভাব ও অনুভূতি ভিন্ন হলেও, একটি সাধারণ বিষয় হল - কেন্দ্রীয় সরকারের তুলনায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে।
যেমন, কেন্দ্রের প্রতি সবচেয়ে বেশি ক্ষুব্ধ পাঞ্জাবের মানুষ। এই রাজ্যের ৪৮.৪ শতাংশ উত্তরদাতা মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়েছে। অন্যদিকে, রাজ্য সরকারের প্রতি সর্বাধিক ৬৬.৮ শতাংশ ক্ষোভ জানিয়েছে তেলেঙ্গানার মানুষ।
তবে, দেশের বিভিন্ন রাজ্য বা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের মধ্যে দিল্লির মানুষ সবথেকে বেশি সন্তুষ্ট রাজ্য প্রশাসনের কাজ নিয়ে।
সমীক্ষায় জানা গেছে, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সবথেকে কম ক্ষোভ রয়েছে দিল্লিতে (২৮ শতাংশ)। তারপরে রয়েছে পাঞ্জাব (৩২.৫ শতাংশ)।
এছাড়া, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি সবচেয়ে কম ক্ষুব্ধ ছত্তিশগড়ের মানুষ। এর পরিমাণ ৬ শতাংশ। তারপরে রয়েছে দিল্লি (৬.৩ শতাংশ) এবং পাঞ্জাব (৯.৭)।
অন্যদিকে, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ক্ষুব্ধ তেলেঙ্গানার মানুষ। এর পরিমাণ ৬৬.৮ শতাংশ। তারপরে রয়েছে হিমাচল প্রদেশ (৬৩ শতাংশ), রাজস্থান (৬০.৫ শতাংশ), অন্ধ্র প্রদেশ (৫৬.৯ শতাংশ) এবং কর্ণাটক (৫৪.৫ শতাংশ)।
এর মধ্যে হিমাচল প্রদেশ এবং কর্ণাটক বিজেপি শাসিত। রাজস্থান ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস এবং অন্য দুটিতে রয়েছে আঞ্চলিক দল। আগামী মাসে হিমাচল প্রদেশে নির্বাচন। তারপর, আগামী ৬ মাসের মধ্যে বিধানসভা নির্বাচন হবে কর্ণাটকে। এছাড়া, আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে রাজস্থানে নির্বাচন হতে পারে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।