২০২৪-র সাধারণ নির্বাচনে আঞ্চলিক দলগুলির ভূমিকা 'স্পষ্টভাবে গুরুত্বপূর্ণ' হবে। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনই দাবি করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন (Amartya Sen)।
তিনি বলেন, 'আমি মনে করি, চব্বিশের নির্বাচনে আঞ্চলিক দলগুলির ভূমিকা স্পষ্টভাবে গুরুত্বপূর্ণ হবে। আমি মনে করি ডিএমকে একটি গুরুত্বপূর্ণ দল, তৃণমূল অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ এবং সমাজবাদী পার্টিরও একটা অবস্থান আছে, তবে তাঁরা কতটা শক্তি বাড়াতে পারবে, তা আমি জানি না।'
এরপরেই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জানান, 'বিজেপি যেভাবে নিজেকে বিরাট শক্তিধর হিসেবে দেখায় সেটা একটা দিক। তবে এই বিজেপির বিস্তর দুর্বলতাও আছে। সমস্ত দল যদি একসঙ্গে লড়াই করতে পারে, তাহলে চব্বিশে বিজেপিকে রুখে দেওয়া সম্ভব হবে।'
২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের জন্য কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে একটি নতুন জোটের আহ্বান জানিয়েছে এনসিপি (NCP), জনতা দল (ইউনাইটেড) সহ বেশ কয়েকটি দলের নেতারা। তাঁরা জানিয়েছেন, নির্বাচনে দ্বিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিজেপির পরাজয় নিশ্চিত করবে।
৯০ বছর বয়সী এই অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, 'আমি মনে করি, এটা ধরে নেওয়া ভুল হবে যে বিজেপির জায়গা নিতে পারে এমন অন্য কোনও দল নেই। কারণ, রাজনৈতিক দল হিসাবে তাঁরা (পড়ুন বিজেপি) দেশের পরিবর্তে বেশি হিন্দুদের দিকে ঝুঁকছে।'
তিনি বলেন, 'ভারতের সামগ্রিক ধারণাটাকেই উল্লেখযোগ্যভাবে সঙ্কুচিত করেছে বিজেপি। তাঁরা কেবলমাত্র ভারতকে 'হিন্দু ভারত' এবং 'হিন্দিভাষী ভারত' হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। তাই, আজকের ভারতে যদি বিজেপির বিকল্প কোনও শক্তি না গড়ে ওঠে, তাহলে তা দুঃখজনক হবে।'
এখানেই থেমে থাকেননি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। তাৎপর্যপূর্ণভাবে কংগ্রেসের বিষয়ে দু’টি মতামত জানিয়েছেন অধ্যাপক সেন। এক, 'কংগ্রেস অনেক দুর্বল হয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে তাদের উপর মানুষ কতটা আস্থা রাখবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।'
একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, 'বিজেপি যখন ভারতের সামগ্রিক ধারণাটাই ভেঙে খান খান করে দিচ্ছে তখন কংগ্রেস ছাড়া অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষে জাতীয় স্তরে দিশা দেখানোও মুশকিল। যেটা কংগ্রেস পারবে, সেটা অন্য কোনও আঞ্চলিক দল পারবে না।' অর্থাৎ দেশ চালাতে যে সঙ্কীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকা প্রয়োজন তা শুধু কংগ্রেসেরই রয়েছে বলে মনে করেন অমর্ত্য সেন।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।