Punjab Election: এবার রাজনীতির ময়দানে আন্দোলনরত কৃষক সংগঠনগুলি, লড়বে পাঞ্জাব নির্বাচনে

তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লি সীমান্তে দীর্ঘ একবছর আন্দোলন চালিয়েছে যে ৩২টি কৃষক সংগঠন, তার মধ্যে ২২টি সংগঠন রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য হাত মিলিয়েছে। দলের নাম দেওয়া হয়েছে সংযুক্ত সমাজ মোর্চা।
বিতর্কিত তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লি সীমান্তে আন্দোলন
বিতর্কিত তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লি সীমান্তে আন্দোলনফাইল ছবি সংগৃহীত

এবার রাজনীতির ময়দানে নামতে চলেছে কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা কৃষক সংগঠনগুলি। বিতর্কিত তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লি সীমান্তে দীর্ঘ একবছর আন্দোলন চালিয়েছে যে ৩২টি কৃষক সংগঠন, তার মধ্যে ২২টি সংগঠন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য হাত মিলিয়েছে। দলের নাম দেওয়া হয়েছে সংযুক্ত সমাজ মোর্চা (SSM)।

আসন্ন পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে সমস্ত আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে SSM। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির সাথে জোটও ঘোষণা করতে পারে দলটি বলে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে।

রাজনৈতিক দল গঠন সম্পর্কে BKU (কাদিয়ান) নেতা হরমীত সিং কাদিয়ান বলেছেন, "সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার ছত্রছায়ায় একাধিক সংগঠন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল। আমরা সেই আন্দোলনে জয়ী হয়েছিলাম। আমরা যদি সেই যুদ্ধ জিততে পারি, তাহলে আমরা নির্বাচনেও জিততে পারি। জনগণের দাবি মেনেই আমরা সংযুক্ত সমাজ মোর্চা গঠন করেছি।"

তিনি আরও বলেন, "এই দলকে একটি মোর্চা বা আন্দোলন হিসেবে দেখা উচিত, রাজনৈতিক দল হিসেবে নয়। কারণ বিভিন্ন মতাদর্শের মানুষ এখানে একত্রিত হয়েছে।"

BKU (রাজেওয়াল) নেতা বি এস রাজেওয়াল, যিনি SSM-এর নেতৃত্ব দেবে বলে মনে করা হচ্ছে, তিনি গ্রাম-পর্যায়ে দলকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছেন। গ্রাম থেকে ধীরে ধীরে শহরে বিস্তার লাভের কথা বলেছেন তিনি। নির্বাচনে আপের সাথে জোট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে‌ তিনি তা অস্বীকার করেছেন।

সংযুক্ত সমাজ মোর্চা দল গঠনের কয়েক‌ঘণ্টা আগে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফ থেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল বর্তমানে রাজনীতিতে নাম লেখানোর কোনো ইচ্ছে নেই সংগঠনটির। মোর্চার তরফ থেকে জগজিৎ সিং দালেওয়াল এবং ডঃ দর্শন পাল একথা জানিয়েছিলেন। এরপরই মোর্চার মধ্যে থাকা ২২টি সংগঠন মিলে রাজনৈতিক দল গঠনের কথা ঘোষণা করেন,‌ যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পাঞ্জাবের অন‍্যতম প্রভাবশালী কৃষক ইউনিয়ন BKU (একতা উগ্রাহরণ)। এই ২২টি সংগঠনের মধ্যে নেই BKU (একতা উগ্রাহরণ)। গ্রুপের পক্ষ থেকে ট‍্যুইট করে বলা হয়েছে, "পাঞ্জাবের কিছু কৃষক সংগঠন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। BKU (একতা উগ্রাহরণ) মনে‌ করে তাদের রাজনীতিতে না জড়িয়ে কৃষকদের দাবি আদায়ের সংগ্রামে মনোনিবেশ করা উচিত।"

বিতর্কিত তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লি সীমান্তে আন্দোলন
কৃষকদের সঙ্গে ধোঁকা! ভোটের পরে কার্যকর হতে পারে কৃষি আইন! কৃষিমন্ত্রীর মন্তব্যে বাড়ছে জল্পনা

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in