

শিলিগুড়ির জনসভা থেকে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি পরিবারতন্ত্র নিয়ে তৃণমূল এবং কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়েছে বিজেপি।
লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়নি এখনও। এরই মধ্যে ৯ দিনে ৪ বার বঙ্গ সফরে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার শিলিগুড়িতে প্রথমে একাধিক সরকারি প্রকল্প উদ্বোধন করার পর জনসভায় যোগ দেন তিনি। সভা থেকে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেন। রেশন বন্টন দুর্নীতি থেকে শুরু করে আবাস যোজনায় দুর্নীতি - সবকিছু নিয়ে সরব হন মোদী। এই সভাতেই উপস্থিত ছিলেন সদ্য গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি।
নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজের জন্য টাকা পাঠায়। সেই টাকা তৃণমূল তোলাবাজদের পকেটে ভর্তি করে দেয়। তৃণমূল সরকার ২৫ লক্ষ ভুয়ো জব কার্ড বানিয়েছে। রাজ্যের ১৪ লক্ষ মহিলাকে উজ্জ্বলা গ্যাস প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করেছে তৃণমূল। এদের মন্ত্রীরা দুর্নীতির কারণে জেলে যায়। মানুষের উচিত এই তৃণমূল সরকারকে বিদায় দেওয়া। লোকসভা নির্বাচন থেকেই যেন সেই কাজ শুরু হয়ে যায়'।
তিনি আরও বলেন, 'তৃণমূল শুধু ভাবে ভাইপোর কথা আর কংগ্রেস ভাবে নিজেদের পরিবারের দুই ছেলে মেয়েকে কী করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। এদেরকে সমর্থন করছে বামেরা। এরা কেউ গরিব মানুষের কথা ভাবে না। তৃণমূল সরকার মহিলাবিরোধী, আদিবাসীবিরোধী। গরিব মানুষের জন্য আবাস যোজনা প্রকল্প চালু করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু তৃণমূল সেখানেও দুর্নীতি করেছে। মানুষের রেশনও এরা লুঠ করেছে। পশ্চিমবঙ্গে আয়ুষ্মান প্রকল্প চালু করেনি তৃণমূল সরকার'।
পাশাপাশি মোদী বলেন, তৃণমূলের দুর্নীতিকে সমর্থন করছে কংগ্রেস ও বামেরা। বামেরা নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রাখার জন্য রাজ্যে গোপনে তৃণমূলের সাথে আছে। কিন্তু জাতীয় রাজনীতিতে 'ইন্ডিয়া' জোটে এক টেবিলে বসে বৈঠক করছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন