

মোদীকে দিয়েই লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি। আগেই জানা গিয়েছিল আগামী ৬ মার্চ বারাসাতের কাছারি ময়দানে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার বিজেপি সূত্রে খবর, আগামী ১ মার্চ এবং ২ মার্চও বঙ্গ সফরে আসতে পারেন মোদী। ১ তারিখ আরামবাগে ও ২ তারিখ কৃষ্ণনগরে সভা করবেন তিনি। যদি তা হয়, তাহলে আগামী মাসে এক সপ্তাহে তিনবার বাংলায় আসবেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে দিল্লি থেকে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছিলেন, আগামী ৬ মার্চ বারাসাতের কাছারি ময়দানে সভা করবেন মোদী। ওই দিন সভাতে উপস্থিত থাকতে পারেন সন্দেশখালির ‘নির্যাতিতা’-রা। আলাদা মঞ্চ করে বসানো হবে তাঁদের। সেখানে মুখ ঢেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হবেন তাঁরা। সুকান্ত মুজমদারের নেতৃত্বে তাঁদের সন্দেশখালি থেকে বারাসাতে নিয়ে আসা হবে।
এই আবহে এবার বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, মার্চের ১ তারিখ আরামবাগে ও ২ তারিখ কৃষ্ণনগরে সভা করবেন মোদী। মার্চ মাসেই প্রকাশিত হতে পারে লোকসভা ভোটের সূচি। সম্ভবত, এপ্রিলের শুরুতেই ভোট। আর ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশের আগেই ভোটের প্রচার শুরু করতে চাইছে বিজেপি।
তবে মোদীর জনসভার জন্য আরামবাগ ও কৃষ্ণনগরকেই কেন বাছা হল? গত লোকসভা ভোটে আরামবাগে খুব কম ব্যবধানে হেরেছিল বিজেপি। তৃণমূলের বর্তমান বিধায়ক অপরূপা পোদ্দার পেয়েছিলেন ৪৪.১৪ শতাংশ ভোট, এবং বিজেপির তপন কুমার রায় পেয়েছিলেন ৪৪.০৬ শতাংশ ভোট। এছাড়াও বিধানসভার নিরিখে সাতটি আসনের মধ্যে চারটি- আরামবাগ, খানাকুল, গোঘাট, পুরশুড়া কেন্দ্রে জিতেছিল বিজেপি। বাকি তিনটে- হরিপাল, তারকেশ্বর এবং চন্দ্রকোনায় তৃণমূল জিতেছিল।
অন্যদিকে, কৃষ্ণনগর বিজেপির জন্য উর্বর জায়গা বলে খবর দল সূত্রে। অতীতে ১৯৯৯ সালে, যখন রাজ্যে বিজেপি এত পোক্ত ছিল না, সেই সময় কৃষ্ণনগরের সাংসদ ছিলেন বিজেপির জলু মুখোপাধ্যায়। এছাড়াও, সম্প্রতি তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সেটাও কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের অনেকে মনে করছেন, বিবিধ সমীকরণে কৃষ্ণনগর লোকসভা পদ্মশিবিরের জন্য ভাল আসন।
সেই প্রেক্ষাপটেই লোকসভা ভোটের আগে সভা করার জন্য আরামবাগ ও কৃষ্ণনগরকে বেছে নিয়েছেন মোদী। পাশাপাশি, লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগেই পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে নিজেদের জমি আরও শক্ত করতে মোদী দুই লোকসভায় প্রচারে নামছেন বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। সন্দেশখালি ইস্যুকেও কাজে লাগাতে চাইছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন