মুর্শিদাবাদে মহম্মদ সেলিমের বিরুদ্ধে প্রার্থী মহম্মদ সেলিম! আবার বহরমপুরে অধীরের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছে অধীর। একই নামে দুই প্রার্থী নিয়ে রীতিমতো বিভ্রান্তিতে পড়বেন ভোটাররা। নির্বাচনে জিততে এমনই কৌশলই নাকি নিয়েছে তৃণমূল, অভিযোগ বাম-কংগ্রেসের।
একই নামে দুই বা একাধিক প্রার্থী দাঁড় করিয়ে মূল প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার পদ্ধতি গ্রহণ করে রাজনৈতিক দলগুলি। মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর আসন এবং মুর্শিদাবাদ আসনেও একই জিনিস হয়েছে। মুর্শিদাবাদ আসনে সিপিআইএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিমের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছিলেন আরেক মহম্মদ সেলিম। কিন্তু পদ্ধতিগত কিছু ভুলের জন্য মহম্মদ সেলিমের (নির্দল) মনোনয়ন বাতিল হয়। কিন্তু অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে লড়বেন অধীর স্বর্ণকার নামের এক ব্যক্তি।
বাম-কংগ্রেসের অভিযোগ, তৃণমূল হারার ভয়ে এই ধরণের কাজ করছে। যাতে সাধারণ ভোটাররা ইভিএম মেশিনের সামনে গিয়ে ঘাবড়ে যান। মানুষকে ওরা যতোই ভুল বোঝানোর চেষ্টা করুক প্রতীক চেনেন তাঁরা।
তৃণমূল অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। শাসক দলের দাবি, তারা কোনো নির্দল প্রার্থীকে দাঁড় করায়নি। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সকলের নির্বাচনে লড়ার অধিকার আছে। একই নামের হয়তো কেউ দাঁড়িয়েছে। এর সাথে তৃণমূলের কোনো যোগ নেই।
অন্যদিকে সোমবার নির্বাচনী সভা থেকে সিপিআইএম ও কংগ্রেসকে একযোগে আক্রমণ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি। তিনি বলেন, "এখন একটা কিনলে দুটো ফ্রি। কংগ্রেস কিনলে সিপিআইএম ফ্রি আর সিপিআইএম কিনলে কংগ্রেস ফ্রি। দু'জনে মিলে (সিপিআইএম-কংগ্রেস) জোট বেঁধেছে। মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসরা পাঠিয়েছে সেলিমকে লড়তে। উত্তর দিনাজপুরে পাঠিয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লকের 'রমজান'কে। আর মালদাতে আরেক জনকে পাঠিয়েছে। অর্থাৎ যে সিটগুলো তৃণমূলের পাক্কা সিট সেগুলোতে জল ঢেলে দিয়ে যাতে বিজেপিকে জেতানো যায় তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটটা কেটে"।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন