ভোট প্রচারে মোদী-অমিত শাহদের লাগাতার ঘৃণাভাষণ, উস্কানিমূলক মন্তব্য শুনেও কেন চুপ কমিশন? বিজেপিকে ভয় পাচ্ছেন? এই প্রশ্ন তুলে শুক্রবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার-সহ কমিশনের ফুল বেঞ্চের কাছে অভিযোগ জানাতে যায় ইন্ডিয়া মঞ্চের প্রতিনিধি দল। যদিও কমিশনের পক্ষ থেকে এই অভিযোগের সদুত্তর মেলেনি বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়া মঞ্চ।
ভোটের মাঝেই এবার বিজেপির বিরুদ্ধে কমিশনের নীরবতা নিয়ে কমিশনের কাছেই অভিযোগ দাখিল করল ইন্ডিয়া মঞ্চ। শুক্রবার ইন্ডিয়া মঞ্চের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের কাছে সেই অভিযোগ দাখিল করে। সেই প্রতিনিধি দলে ছিলেন কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, সলমন খুরশিদ; সিপিআই(এম)'র নীলোৎপল বসু, দিনশিয়াই'র বিনয় বিশ্বম; ডিএমকে'র টিয়ার বাল; সমাজবাদী পার্টির জাভেদ আলি খান; টিএমসি'র ডেরেক ও’ব্রায়েন প্রমুখ।
সম্প্রতি আচমকাই প্রথম ও দ্বিতীয় দফার ভোটের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রথম দফার ভোটের ১১ দিন এবং দ্বিতীয় দফার ৫ দিন পর কমিশন ভোট পড়ার যে তথ্য দাখিল করেছে, তা আগের তুলনায় প্রায় ৬ শতাংশ বেশি। এনিয়ে সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতি দেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে।
তিনি জানান, গতবার যেখানে শাসক গোষ্ঠী খারাপ ফল করেছিল সেই সব আসনে কি ভোটের হার হঠাৎ করে বেড়ে গেল? এমনকি ভোটের সংখ্যা কিংবা মোট ভোটারের সংখ্যাও দেওয়া হয়নি। এব্যাপারে কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে। এভাবে ভোট বৃদ্ধি হতে থাকলে ফলাফলে প্রভাব পড়তে বাধ্য। এমনকি বড় ধরনের কারচুপিরও আশঙ্কা করছেন তিনি।
এর উত্তরে কমিশন জানিয়েছে, “আপনি যে তথ্য দিয়েছেন তা ঠিকঠাক নয়।“ একই সঙ্গে কমিশনের সাফাই, “যে ভোট পড়েছে সেটা এদিক ওদিক করা সম্ভব নয় কারণ তার পুরো তথ্য সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর কাছে থাকে। ভোট শেষ হওয়ার পরেই তার কাছে জমা পড়ে যায়। গণনার দিন সেই ১৭সি ফরম'র সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয় ভোটের সংখ্যা।" আরও বলা হয়েছে, “নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীন সমস্ত রকম রাজনৈতিক দলের মন্তব্যের জবাব দেওয়া থেকে কিছুটা বিরত থাকে কমিশন। তবে কমিশন দেখেছে যে ভোটের মাঝপথে পাবলিক ডোমেনে এমন অপ্রত্যাশিত। এর মাধ্যমে ভোটদান নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে। এর মাধ্যমে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করানোর ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে।“
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন