

লোকসভার আগে লাগাতার বিজেপি শিবিরে ধাক্কা দিচ্ছে কংগ্রেস। পরপর নেতারা পদ্ম শিবির ছেড়ে হাত শিবিরে ভিড়ছেন। এবার তেলেঙ্গানায়। বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা মেহবুবনগরের প্রাক্তন সাংসদ জিতেন্দ্র রেড্ডি। শুক্রবার তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি এবং এআইসিসির ভারপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক দীপা দাশমুন্সীর উপস্থিতিতে কংগ্রেসে যোগদান করেন সিনিয়র নেতা জিতেন্দ্র। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তাঁকে তেলেঙ্গানা সরকারের উপদেষ্টার পদ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে জিতেন্দ্রর সঙ্গে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি এবং এআইসিসির ভারপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক দীপা দাশমুন্সির বৈঠকের পর জল্পনা সৃষ্টি হয়েছিল। এরপরে এদিনই তিনি বিজেপি থেকে পদত্যাগ করেন এবং কংগ্রেসে যোগ দান করেন। যোগদানের পর নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সেই ছবি শেয়ারও করেন জিতেন্দ্র।
শুক্রবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে দলের সদস্যপদ ছাড়ার চিঠি পাঠিয়েছেন জিতেন্দ্র। চিঠিতে তাঁকে মেহবুবনগরের টিকিট না দেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি। বিজেপি থেকে পদত্যাগের কারণ হিসেবে জিতেন্দ্র "বহিরাগতদের অগ্রাধিকার"-কেই দায়ী করছেন। উল্লেখ্য, মেহবুবনগর থেকে এবার বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি ডিকে অরুণাকে টিকিট দেওয়া হয়েছে।
জিতেন্দ্র তাঁর পদত্যাগ পত্রে লেখেন, "আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে, আমাদের দল বহিরাগতদের অগ্রাধিকার দিয়েছে। যারা সম্প্রতি আমাদের দলে যোগ দিয়েছে এবং আমাদের নীতি মেনে চলে না। আমি রাজ্য এবং জাতীয় স্তরে বেশ কয়েকবার আমার সংরক্ষণ এবং আশঙ্কা জানিয়েছি। যাইহোক, আমি গভীরভাবে দুঃখিত, আমি ভারতীয় জনতা পার্টি থেকে পদত্যাগ করছি।”
২০২৩ সালে তেলেঙ্গানার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির খারাপ ফলের কথাও এদিন জিতেন্দ্র তাঁর পদত্যাগ পত্রে উল্লেখ করেন। তিনি লেখেন, "সদ্য শেষ হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দলের অন্তত ২৫ টি আসনে জয়লাভ করা উচিত ছিল। সেখানে আমরা তেলেঙ্গানা বিধানসভার ১১৯ টি আসনের মধ্যে মাত্র ৮ টি আসনে জয়লাভ করেছি।"
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে বিজেপির প্রতীকে অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের মেহবুবনগরের সাংসদ হয়েছিলেন জিতেন্দ্র। রাজ্য ভাগের পরে ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটেও এই কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন তিনি। পরবর্তী সময়ে যোগ দিয়েছিলেন কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দল ‘তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি’ বা টিআরএস-এ। কিন্তু পরে আবার বিজেপিতে ফিরে আসেন তিনি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন