

লোকসভা ভোটের আগে মঙ্গলবার গঠিত হল রাজ্যে বিজেপির ইস্তেহার কমিটি। সেই কমিটিতে সদস্য হিসাবে রাখা হল এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডলকে। একটা সময় তৃণমূলের শিক্ষা সেলের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। এই চিত্তরঞ্জন মণ্ডলই অভিযোগ করেছিলেন, এসএসসির চেয়ারম্যান পদে থাকাকালীন তৃণমূলের লোকেদের চাকরি দেওয়ার জন্য তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন চিত্তরঞ্জন মণ্ডল।
২০১১ সালে জুন মাস থেকে ২০১৩ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত এসএসসির চেয়ারম্যান পদে ছিলেন চিত্তরঞ্জন মণ্ডল। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলেন চিত্তরঞ্জনবাবু। এছাড়াও, ২০২২ সালে যখন নিয়োগ দুর্নীতিতে সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই, তখন জানা যায় সুবীরেশকে এসএসসির চেয়ারম্যান পদে বসানোর জন্য তাঁর প্রাক্তনীদের জোর করে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এই অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর চিত্তরঞ্জনবাবুকে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। সেইসময়ই জানা যায়, তৃণমূলের চাপে পড়েই এসএসসির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। এরপর ২০১৯ সালে বিজেপি যোগ দেন তিনি। যদিও এতদিন পর্যন্ত তাঁকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। তবে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁকে বঙ্গ বিজেপির ইস্তেহার কমিটির সদস্য করা হল।
উল্লেখ্য, বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ির নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে বাংলার বিজেপির ইস্তেহার কমিটি। মূলত, দিল্লিতেই তৈরি হয় বিজেপির ইস্তেহার কমিটি। তবে এবার জানা গেছে, প্রতিটি রাজ্যে আলাদা আলাদা ইস্তেহার কমিটি গড়া হবে। মঙ্গলবার গঠিত হল পশ্চিমবঙ্গের এই কমিটি। বিজেপির ইস্তেহারে বাংলার জন্য কী কী প্রয়োজন সেটা খুঁজে দেখা এই কমিটির কাজ।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন