Farm Laws: তিন কৃষি আইন বাতিলে আসন্ন নির্বাচনে লাভবান হবে দল - আশা বিজেপির

শুক্রবার জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, "মনে হচ্ছে কিছু কৃষক এখনও আমাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আশ্বস্ত নন। তাই আমরা তিন কৃষি আইন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত কৃষকরা
তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত কৃষকরাফাইল ছবি

বিজেপি-র বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তিনটি খামার আইন বাতিল করার ঘোষণায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে লাভবান হবে দল। একই সঙ্গে এই পদক্ষেপের ভিত্তিতে আগামী ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা এবং রাজস্থানে ছড়িয়ে থাকা ৪০টি লোকসভা আসনে রাজনৈতিক লাভের অঙ্ক মেলাতেও মরিয়া বিজেপি।

গেরুয়া শিবির মনে করছে এই সিদ্ধান্ত পাঞ্জাবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং-এর নতুন দলের সঙ্গে জোট গঠনেও সহায়ক হবে।

শুক্রবার জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, "মনে হচ্ছে কিছু কৃষক এখনও আমাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আশ্বস্ত নন। তাই আমরা তিন কৃষি আইন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই আইনগুলি বাতিল করার সাংবিধানিক প্রক্রিয়া এই মাসের শেষে সংসদ অধিবেশন থেকে শুরু হবে।"

প্রসঙ্গত, গত বছরের নভেম্বর থেকে, বিভিন্ন রাজ্যের কৃষকরা - বিশেষ করে পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা নতুন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে এবং তাদের পণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি নিশ্চয়তা দাবি করে দিল্লির একাধিক সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছে।

গাজিপুর সীমান্তে কৃষকদের বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছেন রাকেশ টিকাইত। যা টিকরি এবং সিঙ্ঘু সীমান্ত বরাবর এই আন্দোলনের মূল কেন্দ্রস্থল। এই অঞ্চলেই পাঞ্জাবের কৃষক ইউনিয়নের নেতারা প্রায় এক বছর ধরে রাস্তায় বসে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

বিজেপির এক প্রবীণ নেতা জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত শুধু যে কৃষক আন্দোলনের অবসান ঘটাবে তাই নয়। এই সিদ্ধান্তের ফলে সরকার যে তাঁদের সম্পর্কে উদ্বিগ্ন এরকম একটি বার্তা কৃষকদের কাছে পৌঁছবে এবং তা দলের পক্ষে সহায়ক হবে।

তিনি আরও বলেন, "কৃষকদের বেশ কয়েকটি দাবির মধ্যে, কৃষি আইন বাতিল করার একটি দাবি অবশেষে মেনে নেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করি কৃষকরা এবার তাঁদের আন্দোলন শেষ করবেন এবং গ্রামে ফিরে যাবেন। প্রধানমন্ত্রী মোদির এদিনের বার্তা খুবই স্পষ্ট, যে সরকার প্রয়োজনে নমনীয় হতে প্রস্তুত। কৃষকদের স্বার্থের পক্ষে দাঁড়ানো, কৃষকের কল্যাণ এই সরকারের অগ্রাধিকার।”

গেরুয়া শিবিরের নেতারা মনে করছেন এবার পাঞ্জাবের নেতারা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার সময় সহিংস প্রতিবাদ ও হামলার মুখোমুখি আর হবেন না। পাঞ্জাবের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং-এর দলের সঙ্গে জোট করে নির্বাচনে জয়ের জন্য ঝাঁপাতে চাইছে। বিজেপির পুরোনো জোটসঙ্গী শিরোমনি আকালি দল (এসএডি) তিন কৃষি আইনের বিরোধিতা করে জোট ভেঙে বেরিয়ে যাওয়ার পরে বিজেপি এখন অমরিন্দর সিং-এর নতুন দলের সঙ্গে জোট করে নির্বাচন লড়তে আগ্রহী।

এর আগে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং জানিয়েছিলেন, "কৃষকদের স্বার্থে কৃষকদের সমস্যার সমাধান হলে ২০২২ সালের পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সাথে তিনি জোটের বিষয়ে আশাবাদী।"

বিজেপি আরও মনে করছে কৃষি আইন বাতিলের এই সিদ্ধান্ত জাঠদের, যারা সক্রিয়ভাবে কৃষক আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল, তাদের আবার বিজেপিতে ফিরিয়ে আনবে।

দলের এক নেতার বক্তব্য অনুসারে "আমরা জানি যে হরিয়ানা, রাজস্থান এবং পশ্চিম উত্তর প্রদেশের সমস্ত লোকসভা আসন মূলত জাঠদের দ্বারা নির্ধারিত হয়, যা কেন্দ্রে সরকার গঠনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি এই সিদ্ধান্ত ৪০ টি লোকসভা আসনে বিজেপিকে জাঠ সম্প্রদায়ের হারানো সমর্থন ফিরে পেতে সাহায্য করবে।"

তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত কৃষকরা
Farm Laws: কৃষকদের সাহসী সংগ্রামের জন্যই মোদীকে তিন কালো কৃষি আইন বাতিল করতে হচ্ছে - ইয়েচুরি

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in