বিজেপি বিরোধী মহাজোটের অংশ নয় KCR-এর দল, জানালো কংগ্রেস

তেলেঙ্গানা কংগ্রসের মতে, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আর তেলেঙ্গানার বিআরএস সরকারের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। বিজেপি আর বিআরএস দুজনেই সমান।
কে. চন্দ্রশেখর রাও (বামদিকে) এবং রাহুল গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খাড়গে
কে. চন্দ্রশেখর রাও (বামদিকে) এবং রাহুল গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খাড়গেফাইল ছবি

তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে. চন্দ্রশেখর রাও ও তাঁর ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)-এর বিরোধীতা করতে গিয়ে আরও একবার তোপ দাগল তেলেঙ্গানা কংগ্রেস। ২০২৪ সালের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী মহাজোটের অংশ নয় বিআরএস, মঙ্গলবার এমনটাই জানালেন তেলেঙ্গানা কংগ্রেস ক্যাম্পেন কমিটির প্রধান মধু গৌড ইয়াক্ষি। তিনি আরও জানান, “কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আর তেলেঙ্গানার বিআরএস সরকারের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। বিজেপি আর বিআরএস দুজনেই সমান।”

সোমবারই প্রাক্তন বিআরএস নেতা পঙ্গুলেতি শ্রীনিবাস রেড্ডি ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জুপাল্লি কৃষ্ণা রাওয়ের নেতৃত্বে ৩৫ জন বিআরএস নেতা কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এটা হয়নি। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে তেলেঙ্গানায় একটি বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে কংগ্রেস। সেই অনুষ্ঠানে জাতীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে বিআরএস নেতারা আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে যোগ দেবেন।

এবার কংগ্রেস যে রাজ্যের পাশাপাশি জাতীয় স্তরেও বিআরএস-এর সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখতে চায় না, সেটাই নিশ্চিত করল। তেলেঙ্গানা জাতীয় কংগ্রেসের ইনচার্জ মানিকরাও থাকারে নাম না করে বিআরএস প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাওকে কটাক্ষ করে জানিয়েছেন, “উনি এতগুলো বছর ধরে রাজ্যকে লুঠ করেছেন। উনি শুধুমাত্র নিজের দল ও পরিবারের জন্য কাজ করেন।"

কংগ্রেসের এই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও। তেলেঙ্গানার পন্ধরপুর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে সারকোলি গ্রামে একটি সমাবেশে বক্তৃতা দিতে গিয়ে রাও জানিয়েছেন, “আমরা প্রধানত কৃষক, সংখ্যালঘু, দলিত ও প্রান্তিক সম্প্রদায়ের মানুষের একটি দল। পাশের রাজ্যগুলিতেও আমরা ছড়িয়ে পড়ার চেষ্টা করছি। এতে বিরোধীদের এত কান্নার কী আছে?” তাঁর আরও বক্তব্য, “কৃষকরাই আমাদের দলের সবচেয়ে বড় অংশ। কৃষকরা একসঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থাকলে ওরাই দলের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে এবং সেই সব সুযোগ-সুবিধা পেতে পারেন যা থেকে তারা এতদিন বঞ্চিত হয়ে এসেছেন।”

বিআরএস প্রধানকে আক্রমণ করেছেন শিবসেনা (ইউটিবি)ও। সেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বলেন, "তিনি গত আট-নয় বছরে মুখ্যমন্ত্রী বা অন্ধ্রপ্রদেশের মন্ত্রী এবং কেন্দ্রে মন্ত্রী থাকাকালীন কখনও পন্ধরপুর যাননি। কাকে কেসিআর নিজের শক্তি দেখানোর চেষ্টা করছেন? কেসিআর আমার ব্যক্তিগত বন্ধু হতে পারে, কিন্তু তাঁকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা কার বিরুদ্ধে লড়বো।”

কে. চন্দ্রশেখর রাও (বামদিকে) এবং রাহুল গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খাড়গে
পরিকাঠামোই নেই অথচ বন্দে ভারত বানাচ্ছে সরকার! নয়াদিল্লী স্টেশনে তড়িদাহত হয়ে মৃত যুবতীর বাবার ক্ষোভ

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in