লোকসভা ভোটের গণনায় কারচুপির আশঙ্কা উড়িয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র জয়রাম রমেশ আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন গণনা প্রভাবিত করতে পারে বিজেপি। সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা জয়রাম রমেশকে চিঠি দিয়ে তাঁর এমন মন্তব্যের জবাব তলব করেছে কমিশন।
রাত পোহালেই অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ। একাধিক এক্সিট পোলের মাধ্যমে তৃতীয়বারের জন্য বিজেপির ক্ষমতায় ফেরার ইঙ্গিত মিললেও বিরোধী মঞ্চ 'ইন্ডিয়া' তা মানতে নারাজ। কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী জানিয়েছেন, সমীক্ষায় যা দেখাচ্ছে রেজাল্ট তার উল্টো হবে। রবিবারই কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেছিলেন, অমিত শাহ প্রায় দেড়শো জেলা শাসককে ফোন করেছিলেন। নির্বাচন কমিশনের উচিত পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার।
জয়রাম রমেশের অভিযোগের পরই দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই অভিযোগের কোনো প্রমাণ মেলেনি। কোনও জেলাশাসকই অমিত শাহ-র ফোনের বিষয়ে কিছু জানাননি। তবে জয়রাম রমেশের উচিত সকল জেলা শাসকের নাম নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠানো। তাতে তদন্ত করতে সুবিধা হবে। সন্ধ্যার মধ্যে তালিকা জমা দিক।
পাশাপাশি সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে নির্বাচন কমিশন জানায়, একাধিক রাজনৈতিক দলের তরফ থেকে গণনাকেন্দ্রে সিসিটিভি চালু রাখার দাবি জানানো হয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারেও গণনাকেন্দ্রে সিসিটিভি থাকবে। কোনো অশান্তি হবে না। সম্পূর্ণ নিরাপত্তার সাথে ভোট গণনা হবে।
শুধুমাত্র কংগ্রেসই নয়, একাধিক বিরোধী দল ভোটের গণনা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। সকলেরই দাবি, নিরপেক্ষভাবে গণনা করতে হবে। বিরোধীদের দাবি, গণনায় কারচুপি হলে তার দায় নিতে হবে কমিশনকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন