
আসন্ন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন নিয়ে ব্যাঙ্গালুরুতে বসবে মহাজোটের দ্বিতীয় মহা-বৈঠক। সোমবারই কর্ণাটকের ব্যাঙ্গালুরুতে পৌঁছবেন বিজেপি বিরোধী মহাজোটের সদস্যরা। উপস্থিত থাকবেন সোনিয়া গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শরদ পাওয়ার, এমকে স্ট্যালিন, মল্লিকার্জুন খাড়্গে, নীতিশ কুমার-সহ দেশের একাধিক বিজেপি বিরোধী শক্তির প্রধানরা।
শেষ মুহূর্তে বৈঠকে যোগ দিতে রাজি হয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিও। পাশাপাশি, এই প্রথম বিরোধী মহাজোটের কোনও বৈঠকে হাজির থাকবেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। দলের অভ্যন্তরে ভাঙনের পরেও বৈঠকে থাকবেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার।
গত ২৩ জুন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের আমন্ত্রণে পাটনায় মহাজোটের প্রথম বৈঠক বসেছিল। পাটনার সেই বৈঠকে যোগ দিয়েছিল মোট ১৬টি বিজেপি বিরোধী দল। বৈঠকে আপ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল, কংগ্রেস যদি দিল্লির আমলাদের নিয়ন্ত্রণকারী কেন্দ্রের অর্ডিন্যান্স নিয়ে প্রকাশ্যে কোনওরকম বিরোধিতা না করে, সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বিরোধী মহাজোটের আর কোনও অধিবেশনে অংশগ্রহণ করবে না আম আদমি পার্টি। কিন্তু রবিবার ওই অর্ডিন্যান্স নিয়ে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে কেজরিওয়ালের পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস। তারপরেই প্রায় শেষ মুহূর্তে ব্যাঙ্গালুরুর বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন আপ প্রধান।
সোমবার শুরু হওয়া দু’দিন ব্যাপী এই বৈঠকে বিজেপি বিরোধী প্রধানদের উপস্থিতিতেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচন নিয়ে মহাজোটের কর্মসূচীর ছক কষা হবে। সূত্রের খবর, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে একটি বিশেষ সাব-কমিটি গঠনের প্রস্তাব উঠেছে। এই কমিটি মহাজোটের কর্মসূচির একটি খসড়া তৈরি করবে। এছাড়াও এই বৈঠকে মহাজোটের জন্য একটি পোশাকি নামও ভাবা হতে পারে।
পাটনার বৈঠকে মোট ১৬টি দল যোগ দিলেও তারপরে মহাজোটের সদস্যদলের সংখ্যা বেড়েছে। মঙ্গলবারের বৈঠকে প্রায় ২৪টি দলের যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখনও দেশের বেশ কয়েকটি শক্তিশালী দলের প্রধানরা বিরোধী মহাজোট থেকে যথেষ্ট দূরত্ব বজায় রেখেছেন। তার মধ্যে রয়েছেন কে. চন্দ্রশেখর রাও, চন্দ্রবাবু নাইডু, নবীন পট্টনায়েক, জগন মহন রেড্ডি প্রমুখরা। অন্যদিকে সূত্রে খবর, খুব তাড়াতাড়ি বিজেপিও তার এনডিএ জোটের সদস্যদের নিয়ে একটি বৈঠক ডাকতে পারে। সেখানে প্রায় ৩০টি দল বিজেপির সমর্থনে যোগ দিতে পারে বলে অনুমান।