Unicef: শুকিয়ে যাচ্ছে জলের উৎস! বিশ্বের প্রায় ৭৪ কোটি শিশুর প্রাণ ঝুঁকিতে, Unicef রিপোর্টে চাঞ্চল্য

People's Reporter: রিপোর্ট বলছে, "বিশ্বে প্রতি ৩ জনের মধ্যে ১ জন বা প্রায় ৭৩.৯ কোটি শিশু উচ্চ জলের ঘাটতি থাকা অঞ্চলে বাস করে।"
ছবি প্রতীকী
ছবি প্রতীকীছবি সৌজন্যে ইউনিসেফ
Published on

বিশ্বব্যাপী চিন্তা বাড়াচ্ছে জলের সমস্যা। আর সেই সমস্যাকে খারাপ থেকে খারাপতর করে তুলছে জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন। ইউনিসেফ-এর সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে সেই সমস্যার লিখিত খতিয়ান উঠে এসেছে।

বিশ্বব্যাপী ওই সংস্থার সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বিশ্বে প্রতি ৩ জনের মধ্যে ১ জন বা প্রায় ৭৩.৯ কোটি শিশু উচ্চ জলের ঘাটতি থাকা অঞ্চলে বাস করে। ইউনিসেফ-এর ‘দ্য ক্লাইমেট চেঞ্জড চাইল্ড’ নামক রিপোর্টে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

রিপোর্ট বলছে, বিশ্বে শিশুদের বেশিরভাগ অংশ মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা এবং দক্ষিণ এশিয়ার সীমিত জলসম্পদ এবং উচ্চমাত্রার মৌসুমি অঞ্চলে বাস করে। এসব জায়গায় ভূগর্ভস্থ জলের স্তর হ্রাস এবং খরার প্রবল ঝুঁকি রয়েছে। রিপোর্টে ত্রিস্তরীয় জলের সমস্যার বিশদ বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। জলের অভাব, জলের দুর্বল সরবরাহ এবং ব্যাপক জলের ঘাটতির কথা জানিয়ে রিপোর্টে বর্তমান প্রজন্ম ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উপর এর প্রভাব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।

রিপোর্ট জানাচ্ছে, বিশ্বে প্রায় ৪৩.৬ কোটি শিশু উচ্চ থেকে অতি উচ্চ জলের ঘাটতিপূর্ণ এবং নিম্ন থেকে অতি নিম্ন পানীয় জল পরিষেবা-সহ দ্বিগুণ সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। জলের এই চরম দুর্বলতা তাঁদের জীবনযাপন, স্বাস্থ্য ও সুস্থতাকে ব্যাপক ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে বলেই দাবি করা হয়েছে ইউনিসেফ-এর ওই রিপোর্টে। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, বিশ্বব্যাপী ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণও এই জলের ঘাটতি সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিরোধযোগ্য রোগব্যাধি।

রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, জলের সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের বাস সাব-সাহারান আফ্রিকা, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া এবং পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্য ও নিম্ন আয়ের দেশগুলিতে। ২০২২ সালের হিসেব অনুযায়ী, প্রায় ৪৩ কোটি শিশু জলের অত্যাধিক সমস্যাযুক্ত অঞ্চলে বাস করে। আর ব্যাপক জলের ঘাটতিপূর্ণ দেশগুলির মধ্যে নাইজার, জর্ডন, ইয়েমেন, চাদ এবং নামিবিয়া অন্যতম। এই দেশগুলিতে প্রতি ১০ জন শিশুর মধ্যে ৮ জনই ব্যাপকভাবে জলের সমস্যায় ক্ষতিগ্রস্ত।

এই নিয়ে ইউনিসেফ-এর এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর ক্যাথেরিন রাসেল জানিয়েছেন, “জলবায়ুর এই পরিবর্তন শিশুদের জন্য আরও বিধ্বংসী হতে চলেছে। এমনিতেই তাঁদের শরীর ও মন দূষিত বাতাস, দুর্বল পুষ্টি ও ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার জন্য বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। তার মধ্যে বিশ্ব জুড়ে জলের উৎসগুলি শুকিয়ে যাওয়া, ভয়ঙ্কর আবহাওয়ার পরিবর্তন আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে শুধু প্রতিদিন তাঁদের বিশ্ব পরিবর্তিতই হচ্ছে না, তার সঙ্গে জলবায়ুর এই পরিবর্তন তাঁদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যকেও ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করছে।”

ছবি প্রতীকী
TB: WHO-এর রিপোর্ট অনুসারে ২০২২ সালে বিশ্বে সর্বাধিক যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগী ভারতেই!
ছবি প্রতীকী
Diabetes: আর রক্ত দিতে হবে না, এবার গলার স্বর শুনেই শরীরে ডায়াবেটিসের হদিস দেবে AI মডেল

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in