
ভারতে হদিশ মিলল নয়া হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি)-এর। বেঙ্গালুরুতে আট মাস ও তিন মাস বয়সী দুই শিশুর শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণ মিলেছে। এছাড়া আমেদাবাদের আরও এক শিশুর শরীরে সংক্রমণের খবর মিলেছে।
এছাড়া মঙ্গলবার সকালে মহারাষ্ট্রের নাগপুরেও দু’জনের শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। এক জনের বয়স সাত বছর, অন্য জনের ১৩ বছর। কাশি এবং জ্বরে ভুগছিল দু’জনেই। এছাড়া দেশের আরও দুজন এই ভাইরাসে আক্রান্ত। অর্থাৎ ভারতে মোট সাত জনের শরীরে এইচএমপিভি সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। কারোরই কোনও ‘ট্রাভেল হিস্ট্রি’ নেই বলে জানা গেছে।
সূত্রের খবর, বেঙ্গালুরুর আক্রান্ত দুই শিশুই ভর্তি ছিল হাসপাতালে। যদিও ৩ মাসের শিশুটিকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ৮ মাসের শিশু এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কেন্দ্রের তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘দুই শিশুর ক্ষেত্রেই শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাল প্যাথোজেনের জন্য রুটিন চেকআপ করানো হয়েছিল। ভারত-সহ বিশ্বের নানা দেশেই রয়েছে এইচএমপিভি। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগতে থাকা অনেকের শরীরেই এই ভাইরাস মিলেছে’।
আমেদাবাদে এইচএমপিভি আক্রান্ত শিশুর বয়স দু’মাস। শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শিশুটির অবস্থা স্থিতিশীল এবং পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাকে। আতঙ্ক ছড়াতে এইচএমপিভি নিয়ে সোমবার জরুরী বৈঠকে বসেছিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
দেশবাসীর উদ্বেগ দূর করতে এক ভিডিয়ো বার্তায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নড্ডা জানিয়েছেন, এইচএমপিভি নতুন কোনও ভাইরাস নয়। ২০০১ সালে প্রথম এই ভাইরাসকে শনাক্ত করা হয়। বহু বছর ধরেই এই ভাইরাস গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছে।
এই নয়া সংক্রমণের খবর প্রকাশ্যে আসার পর শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যাগুলির ক্ষেত্রে আরও জোর দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য আধিকারিক অতুল জানান, এইচএমপিভি শ্বাসযন্ত্রকে সংক্রামিত করে এমন ভাইরাসের মতো। ছোট থেকে বড়ো বিশেষ করে এক বছরের কম বয়সী শিশুরা এবং বৃদ্ধরা এই ভাইরাসে সংক্রামিত হতে পারে। সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
এই ভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণগুলো হল - কাশি, জ্বর, সর্দি বা নাক জমাট বাঁধা, গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ফুসকুড়ি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এটি ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। এই ভাইরাসগুলো কাশি ও হাঁচির মাধ্যমে পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে। এই সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রাথমিক ভাবে মাস্ক ব্যবহার করা, হাত স্যানিটাইজ করা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা কথা জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন