

২০২০ সালে বিশ্ব জুড়ে হওয়া করোনা মহামারীর উৎসস্থল ছিল চিন। নতুন বছরের শুরুতে ফের সে দেশে হানা দিয়ে নয়া এক ভাইরাস ‘হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস’ (এইচএমপিভি)। যা নিয়ে ফের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে ভারতীয়দের মধ্যে। এই আবহে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সঙ্গে যুক্ত সংস্থার এক শীর্ষ আধিকারিক আশ্বাস দিয়েছেন, এই নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই।
সম্প্রতি চিনে শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সে দেশের হাসপাতালগুলির সামনে ভিড়ের একাধিক ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে (যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার)। এর পরেই ভারতে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। সাধারণ মানুষের আশঙ্কা কোভিডের স্মৃতি ফিরছে। এই আবহে সাংবাদিকদের প্রশ্নে দেশবাসীদের আশ্বস্ত করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সঙ্গে যুক্ত সংস্থা হেলথ সার্ভিসেসের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজিএইচএস) অতুল গোয়েল।
শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে অতুল জানান, এইচএমপিভি শ্বাসযন্ত্রকে সংক্রামিত করে এমন ভাইরাসের মতো। ছোট থেকে বড়ো বিশেষ করে এক বছরের কম বয়সী শিশুরা এবং বৃদ্ধরা এই ভাইরাসে সংক্রামিত হতে পারে। সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। অতুলের কথায়, ‘চিনে মেটানিউমোভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে খবর ঘুরছে। একটা কথা স্পষ্ট করে বলতে চাই, সর্দি-জ্বর হতে পারে এমন যে কোনও শ্বাসযন্ত্র আক্রমণকারী ভাইরাসের মতোই কাজ করে এইচএমপিভি। ছোট থেকে বয়স্ক, যে কেউ এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে জ্বরে ভুগতে পারেন’।
তবে অতুল শ্বাসনালীর সব ধরণের সংক্রমণ নিয়েই সাবধান থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘এমনিতে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই’। পাশাপাশি, তিনি জানিয়েছেন, পরিসংখ্যান অনুযায়ী ডিসেম্বরে ভারতে শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা বৃদ্ধি পায়। শীতে এই সমস্যাটা হয়েই থাকে। সে জন্য আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখে হাসপাতালগুলো। তবে মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি।
অতুলের কথায়, ‘একটাই কথা সকলকে বলতে চাই যে, শ্বাসযন্ত্রের যে কোনও সংক্রমণ নিয়ে যে ভাবে সতর্ক হই, এ ক্ষেত্রেও তা-ই হতে হবে। তার অর্থ, কারও সর্দি বা কাশি হলে বহু মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করা উচিত নয়। এতে সংক্রমণ ছড়াতে পারে’।
উল্লেখ্য, শীতের সময় চিনে দূষণ বেড়ে যাওয়ায় এবং ঠাণ্ডার কারণে এমনই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা প্রতি বছরই হয়ে থাকে। তবে চিনে সংক্রমণ সংবাদ পরিবেশিত হলেও সরকারি সূত্র এই বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করেনি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন